Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

নির্বাচিত ব্লগ

বর্গী মানে কি? কাদের কে বর্গী বলে ডাকা হতো?

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন? ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুর...

এনাটমির প্রফেসর ডাঃ মনসুর স্যার আর নেই


বাংলাদেশের এনাটমির লিজেন্ড প্রফেসর মনসুর খলিল স্যার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন , ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন । আল্লাহ স্যারকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতবাসী করুন ।
আমার এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে , আরো খারাপ লাগছে মহসিন স্যারের জন্য , পৃথিবীতে উনি একবারেই একা হয়ে গেলেন ।
ফার্স্ট ইয়ারে স্যারের ক্লাস পেয়েছি , আমাদের সম্বোধন করতেন "শোন বাচ্চারা " বলে , এমফিল এর ফার্স্ট পার্ট এর ভাইবা উনার কাছেই দিয়েছি ।
এইত কয়দিন আগেও আমাদের নাদিয়া আপুর থিসিস ডিফেন্ড ভাইবা নিতে এসেছিলেন , দেখা হয়েছে তখনও । আমাদের সবাইকে একে একে আবার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন মহসিন স্যার , আর আমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলছিলেন - এই ছেলেটা ইমিউনো কম্প্রোমাইজড , সারাবছর ঠান্ডা বাধায়ে বসে থাকে ।
ভাবতেই পারছি না , স্যারকে শেষবারের মত দেখতে পাব না , এনাটমিক্যাল সোসাইটির কনফারেন্সের জন্য ঢাকায় এসেছিলাম , ইচ্ছা ছিল শনিবার দেখা করব স্যারের সাথে ।
খুব ইচ্ছা ছিল আমার থিসিস ডিফেন্ড স্যারের কাছে দেব ।
আল্লাহ তুমি উনাকে মাফ করে দিও , জান্নাতি হিসেবে কবুল কোরো ।
নাদিয়া আপুর থিসিস ডিফেন্ডের সময় স্যার বলছিলেন - এমএমসি তোমার মা , এখান থেকে এমফিল ডিগ্রী নিয়ে যাচ্ছ , নিজের মা কে কখনও ভুলে যেও না ।
[ স্যারের জন্য সবাই খুব দোয়া করবেন প্লিজ ]

লেখা - ডাঃ যুবায়ের 

Share:

তরুণ চিকিৎসকদের প্রতি চারজনের একজন বিষণ্নতায় ভোগেন...


অসংখ্য মানুষ বেড়ে ওঠেন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু দুঃস্বপ্নের তথ্যটি হলো, চিকিৎসকদের প্রতি চারজনের একজন ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে বিষণ্নতায় ভোগেন। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সদ্য চিকিৎসক হয়েছেন এমন মানুষদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। সাধারণত চিকিৎসক হওয়ার আগের বিস্তর পড়াশোনা ও ট্রেনিংয়ের চাপে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

আমেরিকার 'জেএএমএ' জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বলা হয়, ১৭ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসকের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। এ ছাড়া গোটা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিগত ৫০ বছরের তথ্য নেওয়া হয়েছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের গবেষকরা জানান, চিকিৎসকদের ২৮.৮ শতাংশ ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে বিষণ্নতায় আক্রান্ত থাকেন।

গবেষকদের সমন্বয়কারী হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের ক্লিনিক্যাল ফেলো ডগলাস মাটা বলেন, আশঙ্কার বিষয় হলো, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার হার যতটা, তার চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে চিকিৎসকদের মধ্যে।

শুধু তাই নয়, বিগত পাঁচ বছরে তরুণ ডাক্তারদের মাঝে বিষণ্নতা বৃদ্ধির হার বেড়েই চলেছে। এ হার এখন পর্যন্ত সামান্য হলেও তা দুশ্চিন্তার বিষয় বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের এপিডেমিয়োলজিস্ট শ্রিজান সেন।

তিনি বলেন, রোগীদের চিকিৎসাকালে ডাক্তারদের বিষণ্নতা রোগীদের মাঝেও ছড়িয়ে যায়। তাই প্রত্যেক ডাক্তারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তা ছাড়া গ্র্যাজুয়েট ডাক্তারদের মানসিক অবস্থার উন্নতিতে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা থাকতে হবে।

Share:

আমেরিকায় মেডিকেল সাইন্সে উচ্চশিক্ষা



বুয়েটের ছেলেরা এত সহজে কীভাবে ইউরোপ আমেরিকাতে যায়? সমসাময়িক বুয়েটের বন্ধুদের খোঁজ নিলে দেখা যাবে – তাদের অধিকাংশই এখন দেশের বাইরে। ডাক্তাররা কী যেতে পারেনা?????

চলুন উত্তর খুঁজি। এমবিবিএস কোর্স শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ ইন্টার্ন শেষ করার পর আমাদের জীবনটা আরও দুর্বিষহ হয়ে যায়। চার বছরের অনাহারি (অবৈতিনিক) প্রশিক্ষণ। এদিকে বাসায় সংসারের ঘানি টানতে টানতে খাবি খাওয়া বৃদ্ধ পিতা বা স্বল্প বেতনের চাকরি করা অসহায় বড়ভাই-বা সদ্য বিয়ে করা নববধূর সামান্য চাহিদা নিয়ে আপনার আমার প্রতি চেয়ে থাকা অসহায় মুখ। ওহ, কী যাতনা, যে এই কষ্ট পায়নি, সে কখনোই ফিল করতে পারবেনা অনাহারি জীবনের কষ্ট।

এখন আবেগের কথা বাদ দিয়ে একটু কাজের কথায় আসি। বুয়েটের অধিকাংশরাই যখন বোস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া আর সানফ্রানসিসকোতে একটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছন্দ জীবন পার করেছে – সেসময় তারই ক্লাসমেট বা একাডেমিক প্রতিবেশী ডিএমসি র বন্ধুটি হয়ত রাত তিনটার সময় কোন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে অজপাড়াগাঁয়ের কোন সরকারি হাসপাতালে রোগীকে সিপিআর দিচ্ছে।

কেন, তাদের কি পথ খোলা নেই, তারা কী বাইরে যেতে পারেনা????

অবশ্যই পারে। চাইলে ইঞ্জিনিয়ারদের মত ডাক্তারেরা চাইলে দলে দলে আমেরিকা যেতে পারে।

কীভাবে???????
ইউএসএমএলই?

ইউএসএমএলই তে চান্স পাওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন স্টুডেন্টসের সংখ্যা আমাদের দেশে অনেক। কিন্তু একটা কারণেই তারা যেতে পারেনা – এবং সে কারনটা অর্থনৈতিক।

ইউএসএমএলই – র সবগুলো পার্ট পাশ করে রেসিডেন্সি তে ঢোকা পর্যন্ত খরচ মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার। (আট থেকে ১২-১৩ লাখ) এত বড় অংকের টাকা খরচ করা আমাদের গরীব দেশের গরীব জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

তবে হ্যাঁ – একটা পথ খোলা আছে। কেউ যদি এদেশ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে ডিটারমাইন্ড হয় – সেক্ষেত্রে তার জন্য পথ সর্বদা খোলা।

সবচেয়ে কমন পথ হচ্ছে ক্লিনিক্যাল লাইন থেকে রিসার্চ লাইনে চলে যাওয়া। আর কেউ যদি দুই বছর মাস্টার্স করে ইউএসএমএলই করতে চায়, তার জন্য ক্লিনিক্যাল পথ তো খোলাই আছে।

কীভাবে রিসার্চ লাইনে যাওয়া যায়?

আপনি প্রায়ই শুনে থাকেন – বুয়েটের আপনার অমুক বন্ধুটি ওয়াশিংটনে, তমুক নিউ জার্সিতে…………

বুয়েটের পোলাপাইন কীভাবে এত দ্রুত আমেরিকা চলে যায়?????

তারা কী আমার আপনার চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী????

মোটেই নয়।

তাহলে?????

আমেরিকাতে আমাদের দেশ থেকে যে সব বুয়েটিয়ান যায় – তারা হয় মাস্টার্স অথবা পিএইচডি-র জন্য যায়। অনেকেই আবার এমবিএ ও করে।

আমেরিকাতে মাস্টার্স করার চেয়ে পিএইচডি করাটা আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের জন্য বেশি সুবিধাজনক। কারণ মাস্টার্সে ফান্ড পাওয়া দুঃসাধ্য, পিএইচডি তে তুলনামূলক ভাবে সহজ। কেন আমেরিকার লোকাল স্টুডেন্টসরা পোস্ট গ্রেজুয়েশনের ব্যাপারে পিএইচডির চেয়ে মাস্টার্স করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে?

এর কারণ অনেক গুলো।

প্রথমত – দীর্ঘসূত্রিতাঃ

মাস্টার্সে সময় লাগে মাত্র দেড় থেকে দুই বছর, পিএইচডি তে পাঁচ থেকে সাত বছর

দ্বিতীয়ত – পিএইচডির স্বল্প (তুলনামূলক) চাহিদা/ মাস্টার্সের চেয়ে অতিরিক্ত সুবিধা না থাকাঃ

পিএইচডিকে সাধারণত মাস্টার্স + ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স এর মান দেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন পিএইচডি হোল্ডারের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি মাস্টার্স করে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যে স্কেল পাওয়া যায়, সে স্কেল দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুলো নতুন অভিজ্ঞতাবিহীন পিএইচডি হোল্ডারের চেয়ে মাস্টার্স + ৩ বছরের অভিজ্ঞদের বেশি বিবেচনা করে চাকরির জন্য। কারন যেসব ছেলেরা মাস্টার্স করে চাকরিতে ঢুকে ৩ বছর চাকরি করে তারা তাদের কোম্পানিতে/কর্মস্থলে একটা জব এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করে, একজন নবাগত পিএইচডির যদিও মাস্টার্স + ৩ বছরের অভিজ্ঞতার সমমান, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিতে নির্দিষ্ট কাজের জন্য উক্ত পিএইচডি ধারীর সেই অভিজ্ঞতা থাকেনা, তাই অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান চাকরিতে পিএইচডিদের চেয়ে মাস্টার্সদের প্রায়োরিটি দেয়।

তৃতীয়ত – স্বল্প আর্থিক সুবিধাঃ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পাশ করা স্টুডেন্টসরা সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাসিক চার থেকে ছয় হাজার ডলার করে বেতন পায়। অন্য দিকে পিএইচডির জন্য ফান্ড দেওয়া হয় মাসে দেড় থেকে সর্বোচ্চ আড়াই বা তিন হাজার ডলার। তাই চার থেকে ছয় হাজার ডলারের চাকরি ছেড়ে দুই হাজার টাকা ফান্ডিং এর পিএইচডি তাদের কাছে খুব বেশি কাঙ্ক্ষিত নয়। পিএইচডি করলেও সেটা তারা পার্ট টাইম পিএইচডি করে। পার্ট টাইম পিএইচডি – তে কোন ফান্ডিং পাওয়া যায়না বটে, তবে আবার কোন টিউশন ফি ও দেওয়া লাগেনা। মার্কিন স্টুডেন্টরা এইভাবেই প্রফেসর/প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। নো ফান্ড বাট পার্ট টাইম পিএইচডি। এভাবে তারা পার্ট টাইম পিএইচডি করায় ফুল টাইমার পিএইচডি গবেষকদের অধিকাংশ ই থার্ড ওয়ার্ল্ডের গরীব দেশগুলো থেকে রিক্রুট করতে হয়।

লোকাল স্টুডেন্টরা ফুল টাইম পিএইচডি করেনা কেন?
পিএইচডি কোর্স ৫ বছর। ফাণ্ডিং মাত্র ২০০০ ডলার/মাস। অন্যদিকে ব্যাচেলর/মাস্টার্সরা ইজিলি চার থেকে ছয় হাজার ডলার বেতন পায়। সুতরাং ব্যাচেলর/মাস্টার্স করে চাকরি করার পাশাপাশি পার্ট টাইম পিএইচডি করে নেওয়াটাই তাদের জন্য সুবিধাজনক।

মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্য মেডিকেল রিলেটেড সাবজেক্টসমূহ
• Medicine
• Ophthalmology
• Pharmacology
• Physiology
• Physiotherapy
• Psychology
• Public Health
• Speech-Language Pathology & Audiology
• Epidemiology
• Rehabilitation/Therapeutic Services
• Biochemistry
• Biomedical sciences
• Biophysics
• Biotechnology
• Bacteriology
• Anatomy
• Biometrics & Biostatistics
• Cell/Cellular Biology and Histology
• Developmental biology/Embryology
• Endocrinology
• Entomology
• Immunology
• Molecular Biology
• Microbiology
• Neuroscience
• Nutrition science
• Toxicology
• Genetics
• Pathology
• Pharmacology
• Physiology

এছাড়া ও রয়েছে
• Complementary Health
• Counseling
• Dentistry
• Health Studies
• Health and Safety
• Midwifery
• Nutrition and Health
• Environmental Health
• Environmental toxicology
• Health Systems/Service Administration
• Kinesiology/Exercise science
• Nursing sciences
• Pharmacy
• Physician Assistant
• Health Sciences, General
• Health Sciences, Other
• Entomology
• Parasitology
• Biology/Biological sciences
• Biology/Biomedical sciences

কী করবেন? কিসে পড়বেন মাস্টার্স না পিএইচডি?

এবারে দেখা যাক, মাস্টার্স আর পিএইচডির মধ্যে সুবিধা অসুবিধা কেমন।

সময় : মাস্টার্সে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই বছর। আর পিএইচডিতে ৫ থেকে ৭ বছর।

পরিশ্রম : অন্তত এটুকু বলা যায় – আমাদের ডাক্তারেরা; যারা চাকরি, ট্রেনিং আর পোস্ট গ্রেড পড়াশুনার মত তিনটা কঠিন কাজ প্রায় একই সাথে করতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য এই পরিশ্রম খুব বেশি হওয়ার কথা না। তবে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের পরিশ্রমের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। মাস্টার্সের কোর্স রিকয়ারমেন্ট পিএইচডির প্রায় অর্ধেক, আর থিসিসের পার্থক্যও বিশাল। মাস্টার্সের থিসিস প্রায় ক্ষেত্রেই একটি মাত্র প্রজেক্ট নির্ভর, যেখানে পিএইচডি থিসিসে একাধিক রিসার্চ পেপারের কাজ নিয়ে বেশ বড় আকারের কাজ করতে হয়। যেখানে এক সেমিস্টার খেটেই এক্সপেরিমেন্ট সহ মাস্টার্স থিসিস অনেকে লিখে ফেলে, সেখানে পিএইচডির গবেষণা শেষ হবার পরে থিসিস লিখতেই অনেকের এর চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায়।

চাকুরির সুযোগ : একাডেমিক ও রিসার্চ লাইনের জন্য পিএইচডি অপরিহার্য। কাজেই আপনার লক্ষ্য যদি হয় একাডেমিক বা রিসার্চ লাইনে থাকা, সেক্ষেত্রে পিএইচডি করতেই হবে। আর আপনার লক্ষ্য যদি হয় কোনো মার্কিন কোম্পানিতে চাকুরি পাওয়া, তাহলে তার জন্য মাস্টার্স করাই যথেষ্ট। অধিকাংশ চাকুরির জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি হলেই চলে। আর ২ বছর পড়েই চাকুরির বাজারে ঢুকতে পারছেন, যা বড় একটা সুবিধা।

তবে অনেক চাকুরিতেই পিএইচডি থাকাটা কোনো অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে ধরা হয় না। চাকুরির বাজারের অনেক জায়গাতেই পিএইচডি বা মাস্টার্সের কোনো পার্থক্য নেই। আগেই বলা হয়ছে পিএইচডিকে সাধারণত মাস্টার্স + ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স এর মান দেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন পিএইচডি হোল্ডারের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি মাস্টার্স করে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যে স্কেল পাওয়া যায়, সে স্কেল দেওয়া হয়।

সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট বিষয় ফান্ডিং : মাস্টার্স পর্যায়ে ফান্ড পাওয়াটা বেশ কঠিন। অন্তত প্রথম সেমিস্টারে ফান্ড পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। সেক্ষেত্রে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে হবে, যা আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম জুনিয়র ডাক্তারদের নাগালের বাইরের পর্যায়ে। স্টেইট ইউনিভার্সিটিগুলোতে টিউশন কম।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেই ফি এর পরিমাণ বেড়ে যাবে অনেকখানি। মাস্টার্স পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারের ফি প্রায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার ডলার। মাস্টার্সে প্রথম সেমিস্টারে ভালো কাজ দেখিয়ে প্রফেসরের কাছ থেকে রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশিপ যোগাড় করতে পারলে টিউশন মাফ হতে পারে, আর বেতনও পাওয়া যেতে পারে।

পক্ষান্তরে, পিএইচডিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই ফান্ড দেয়া হয়, টিচিং/রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশীপ বা ফেলোশীপের মাধ্যমে। এর সাথে টিউশন ফি ও মাফ করা হয়। যা বেতন দেয়া হয়, তা খুব বেশি না হলেও মোটামুটি বেশ ভালই থাকা যায়।

মাস্টার্সে ফান্ড দেয়া কম হয় বলে ভর্তির কড়াকড়িও কম, অ্যাডমিশন পাওয়া সহজ। পক্ষান্তরে পিএইচডির অ্যাডমিশন পাওয়াটা কঠিন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই কয়েকশ মাস্টার্স ছাত্র থাকে, কিন্তু পিএইচডি ছাত্র নেয়া হয় জনা দশেক/বিশেক প্রতি বছরে।

সব বিচার করে বেছে নিন, পিএইচডি নাকি মাস্টার্স, কোনটিতে আবেদন করবেন। একটি বেছে নিলে অন্যটাতে যেতে পারবেন না, তা কিন্তু নয়। দরকার হলে প্রোগ্রাম পাল্টানো যায়, তবে সেটি সময়সাপেক্ষ।

কাজে নেমে পড়েন এখন থেকেই।

Prerequisites:
1. Machine Readable Passport

2. Birth Certificate in English

3. National ID and/Certificate from union chairman/councilor

4. Academic Certificates and Transcripts converted in GPA system.

5. GRE, TOEFL or IELTS score

6. Well & nicely prepared CV

7. Letter of intent (কেন আপনি ওই কোর্সটি করতে চান – সেটির সুন্দর, যুক্তিসঙ্গত এবং আকর্ষণীয় বিবরণ থাকতে হবে এখানে)

8. Letter of recommendation/experience

(Very important; suppose you want to do a research work/PhD in immunology, you were a lecturer of microbiology & immunology in a medical college with well arranged lab. You can show this experience in your letter of recommendation)

9. Police Clearance

যারা প্রথাগত ক্লিনিক্যাল লাইন ছেড়ে রিসার্চ লাইনে যেতে চাচ্ছেন, অথবা অন্তত ছাংবাদিক আর রাজনীতিবিদদের শ্বাসরুদ্ধকর জ্বালা যন্ত্রণায় এদেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই লেখাটি লেখা।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ জানেইনা, পাঁচ বছর এমবিবিএস কোর্স শেষে ইন্টার্নশীপে ডাক্তারদের বেতন দেওয়া হয় মাত্র দশ হাজার টাকা।

এফসিপিএস বা এমডি/এমএস এর চার পাঁচ বছর কোর্স চলাকালীন হাসপাতালে কাজ করার সময় ডাক্তারদের মাসিক বেতন শুন্য টাকা।

বিসিএস স্বাস্থ্য দিয়ে সহকারী সার্জন পদে ডাক্তারদের মাসিক বেতন মাত্র সতের হাজার টাকা।

ডাক্তারেরা এদেশের সবচেয়ে মেধাবী সন্তান, সে ব্যাপারে দ্বিমত কম। তারা দেশপ্রেমের জন্য হোক, আর পরিস্থিতির শিকার হয়ে হোক, দেশের কাছ থেকে এবং দেশের জনগণের কাছ থেকে টাকা পয়সা কম নিতে প্রস্তুত, এবং এটাকে তারা তাদের নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে।

কেন জানেন?

ওই যে ডাক্তারি পেশায় সম্মান!

কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই সম্মান ও মর্যাদা শেষ হয়ে গিয়ে এখন নিরাপত্তা টুকু ও নেই।

হ্যাঁ সম্মান আছে বটে, সেটা পোস্ট গ্রেড হওয়ার আরও কয়েক বছর পর ভাল প্র্যাকটিস হলে তারপর। এর আগ পর্যন্ত আমি আপনি এমবিবিএস দিয়ে কেবল রেফারেল নলেজ অর্জন করি।

মানে কী বুঝলেন???

এমবিবিএস করে আপনাকে আপনার পরিচিত বা আত্মীয় – স্বজন জিজ্ঞেস করবে, আমার তো হালকার উপর ঝাপসা মাথাব্যাথা; তো এখন বল তো কোন ডাক্তারের কাছে গেলে ভাল হয়?

বা একটু বেশি জানাশোনা পাবলিক হলে বলবে – বল তো কোন নিউরোলোজিস্ট এর কাছে যাওয়া যায়???

তার মানে কী??

আপনি ছয় বছর পড়াশুনা করে রেফারেল নলেজ অর্জন করলেন মাত্র, তাও রোগী না দেখে!

Referral System আর জিপি লেভেলের ডাক্তার সিস্টেম না থাকায় আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে চিন্তা করেছেন?

সেই ক্লাস এইটের কথাটাই মনে পড়ে।

সকল প্রফেসর/সিনিয়র কনসালটেনটই জিপি, তবে সকল জিপি কনসালটেনট নয়।

বিসিএস এ গ্রামে যাবেন! বেতন মাসে মাত্র ১৭,৩০০ টাকা, যেখানে একটা প্রাইভেট ব্যাংকে জয়েনিং বেতন ই ৬০ – ৭০ হাজার টাকা। এরপর ও এই ডাক্তারেরা বেতন বৃদ্ধির দাবীতে কখনো ধর্মঘট করেছে – এই রকম অভিযোগ সাংবাদিকেরা ও কখনো করেনি।

তাহলে আমরা কী চাই???

মেধাবী হিসেবে তারা শুধু জাতির কাছ থেকে একটু সম্মান আর নিরাপত্তা চায়। আমাদের জাতির কিছু অশিক্ষিত সাংবাদিক আর জাতির কিছু উশৃঙ্খল মানুষ নবীন এবং মাঝারি পর্যায়ের ডাক্তারদের এতটুকু সম্মান ও দিতে রাজী নয়।

তাহলে আমরা যারা নবীন এবং মাঝারি পর্যায়ের ডাক্তার, আমরা কী করব??

আর্থিক ভাবে ও যদি আমরা ভাল না থাকি, আর মানুষের কাছ থেকে ন্যায্য সম্মান ও যদি না পাই, বরং সাজিয়া আপু আর মুরাদ ভাইদের মত নৃশংসভাবে যদি খুন হতে হয়, তাহলে কোন মায়ায় আমরা এ দেশে পড়ে থাকব??

আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা গণহারে বিদেশমুখি হলেও এখনো আমাদের ডাক্তারেরা দেশমুখি। বিদেশে যাওয়ার trendsটা ইদানীং শুরু হয়েছে মূলত কিছু ডিএমসি – র স্টুডেন্টস দের মধ্যে। অন্যান্য মেডিকেল থেকে বিদেশে যাওয়ার trends অনেক অনেক কম। যে হারে ডাক্তারদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, আগামীতে এদেশের মেধাবী ডাক্তারেরা দলে দলে বিদেশমুখি হতে খুব বেশি দেরী নেই।

যারা এই ধরনের চিন্তা অলরেডি করছেন, অথবা যারা প্রথাগত ক্লিনিক্যাল লাইনের বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করার মত হিম্মত রাখেন তাদেরকে শুভকামনা।

সংগ্রহ, সাইফ তুহিন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ

[সূত্র : সেইভ দ্যা ডক্টরস]












---------------------------------------
Share:

অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে নতুন আশার আলো- ওনিভাইড ইনজেকশন,


মারাত্মক প্যানক্রিস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন আশার আলো বয়ে এনেছে ওনিভাইড নামের নতুন একটি ইনজেকশন।

জটিল অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন এই ওষুধকে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দি ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

ওনিভাইডকে (ইরিনোটেকান লিপোসোম ইনজেকশন) ফ্লুরোরেসিল এবং লিউকোভোরিন নামের অপর দুটি ওষুধের সঙ্গে যৌথভাবে প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তবে কেমোথেরাপি নেয়ার পরও যেসব অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়নি শুধু সেসব রোগীর ক্ষেত্রেই ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ইনজেকশনটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে কমপক্ষে চারশ’ রোগীর ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেমোথেরাপি দেয়া হলেও এসব রোগীদের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিলো।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগীর শরীরে ওনিভাইড ইনজেকশনটি ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন এর সঙ্গে দেয়া হয়েছে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমপক্ষে ৬.১ মাস বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে যাদের ক্ষেত্রে শুধু ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন ব্যবহার করা হয়েছে তাদের আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে ৪.২ মাস। তবে শুধু ওনিভাইড ব্যবহারে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। 

ওনিভাইড অগ্ন্যাশয়ের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে তাদের বৃদ্ধির হারকে শ্লথ করে দেয়। তবে ওনিভাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, বমি, মাথা ব্যথা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, জ্বর প্রভৃতি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে রোগীদের শরীরে। 

ওষুধটিকে বাজারজাত করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজের মেরিম্যাক ফার্মাসিউট্যাকালস। দেশটিতে প্রতি বছর ৪৯ হাজার জন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়।  আর এ রোগে বছরে মারা যায় ৪০ হাজারের ওপর মার্কিনী।

সাধারণত রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারকে শনাক্ত করা কঠিন এবং এর চিকিৎসাও অত্যন্ত জটিল।
Share:

১০ টাকায় ডাক্তার আর ১৫ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

১০ টাকায় ডাক্তার আর ১৫ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক. 
ঢাকার অভিজাত এলাকায় হোটেল রেডিসন এর ঠিক উল্টো দিকে অার্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের গা ঘেষে গড়ে উঠেছে চকচকে এক বিশাল ভবন। এখানে মাত্র ১০ টাকায় উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

হাসপাতালটির নাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু এ হাসপাতালটিতে রোগী আসেনা তেমন কারন এর যথাযথ প্রচারের অভাব । এখানে মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়ে ডাক্তার দেখানো যায়। ১৫ টাকায় মেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ঔষধপত্র সব ফ্রি। এছাড়া কম খরচে আছে বিভিন্ন টেষ্ট এবং অপারেশন এর সুবিধা। আমাদের চারপাশে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ আছে তাদের কাছে এ হাসপাতালটির তথ্য পৌছে দিতে পারলে তারা উপকৃত হবে, চিকিৎসার অভাবে অসহায় গরীব মানুষ গুলো হয়ত আলোর মুখ দেখবে।







Share:

ডাক্তারের ফি নেই, নেই ওষুধের দাম..


বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে চান? মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে যান। রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে বিনামূল্যে শতাধিক রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: আহসান হাবিব ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা: নাজিয়া আফরিন।

শুধু চিকিৎসা সেবাই নয়, দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয়ে থাকে মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে। মুক্তি সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ কিসলু এবং এই দাতব্য চিকিৎসালয়ের আহবায়ক জাহিদ ইকবাল বাবলা মিলে কাজটি করেন খুবই স্বচ্ছন্দে।

প্রতি শনিবারে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব সেবা পেয়ে থাকেন নানান প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা। ফলে ভীড়টাও হয় বেশি।

মুক্তি সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ কিসলু তাদের এই কর্মকাল্ডকে সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসেবেই উল্লেখ করেন। বলেন, আই ক্যাম্প, স্বাস্থ্য ক্যাম্পসহ স্বাস্থ্যসেবার আরো বেশ কিছু কাজ হাতে রয়েছে। সবার সার্বিক সহযোগিতা পেলে দুঃস্থ ও গরীব রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশনের ব্যবস্থা করবো।

রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় মুক্তি সংঘ। স্বাধীনতার পর এই অঞ্চলের খেলাধুলার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে এই ক্লাব। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে চালু হয় মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়.
Share:

এই মানুষটার ঠিক এইরকম হাসিটাই ফিরে পেতে চাই!!! ঠিক আগের মতো করেই!!


এই মানুষটার ঠিক এইরকম হাসিটাই ফিরে পেতে চাই!!! ঠিক আগের মতো করেই!!
 সেই সাথে বিচার চাই সেই সব অমানুষদের যারা প্রানবন্ত মানুষটার ওপর নৃশংসতা চালালো!!!

চট্টগ্রাম মেডিকেলের খ্যাতিমান চিকিৎসক ডাঃতারেক শামসকে এভাবেই কুপিয়ে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।পুলিশ তদন্ত করছে।স্যারেরঅবস্থা আগের চাইতে কিছুটা ভাল।সবাই দোয়া করুন।
(শেয়ার করুন)








Share:

বর্তমান ডাক্তারী পেশা ও কিছু ধ্রুব সত্য কথা


বর্তমান ডাক্তারী পেশা ও কিছু ধ্রুব সত্য কথা ___
ডাক্তার হওয়ার জন্য
এম.বি.বি.এস  ভর্তির শুরু থেকে
ক্লাস,  প্রতিদিন আইটেম,  কার্ড,  টার্ম ও একের পর এক প্রফ পরীক্ষা ।
কেড়ে নেয় জীবনের সব আনন্দ!
ফার্স্ট প্রফের  এনাটমির জন্য,
 গ্রেস এনাটমি
কানিং হাম,  দত্তের বই,
বিডি চুরাশিয়া,  স্নেল নিউরোএনাটমি
নীটার কালার এটলাস,
হিস্টোলজি, ওস্টিওলোজি ,  এমব্রায়োলজি
ফিজিওলজির জন্য  গেনং, গাইটন সহ
আরো কত মেইনবই, গাইড বই পড়তে হয়!
বায়োকেমেস্ট্রির জন্য লিপিনকট, হার্পার, সত্যনারায়ণসহ কত লেকচার নোট পড়তে হয়!
যে পড়ে সে জানে!
এর মাঝে আরেক প্যারা কমিউনিটি মেডিসিন!
পাবলিক হেলথের ডেফিনেশন মুখস্ত করতে করতে জান শেষ হয়ে যায়,
ডেফিনেশন আর মুখস্ত হয় না!
সেকেন্ড প্রফ সে তো আইটেমের পাহাড়
ফার্মার কেটজাং ,  মাইক্রো , রবিনস প্যাথো,  মরা মানুষের গবেষনা রেড্ডির
ফরেনসিক পাশের  জন্য  কত বই,  লেকচার পড়তে সেটা আল্লাহ মালুম!
ফাইনাল প্রফ সেতো  এম বি বি এস নাটকের শেষ দৃশ্য!
থার্ড ইয়ারের ডেভিডসন - হ্যারিসনের মেডিসিন,
ম্যাকলয়েডস এর ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন,
আব্দুল্লাহ স্যারের শর্ট কেইস, লং কেইস ,
ইসিজি,  রেডিওলজি
বেইলী লাভের সার্জারী,
দত্তের সার্জারী,
আই,  ই এন টির কত বই,
কত লেকচার !
সে তো  বলে শেষ করা যাবে না!
সব বই আর লেকচার কাঁধে নিয়ে নিয়মিত ক্লাসে আসলে,
নিশ্চিত ঐ ছাত্রের ডাক্তার হওয়ার পূর্বেই কাইপোসিস ডেভেলাপ করবে ।
আইটেম সব ক্লিয়ার না হলে,
কার্ডে বসার সুযোগ নেই,
সব কার্ড পাশ না করলে,
টার্মে বসার সুযোগ নেই,
সব টার্মে পাশ না করলে
ভার্সিটির অধীনে অনুষ্ঠিত প্রফে বসার সুযোগ নেই,
সব ক্লিয়ার থাকার পর যদি পার্সেন্টেজ ৭৫ এর নীচে হয়
প্রফে বসার আশাটা গুড়ে বালি হয়ে যায়!

ফার্স্ট প্রফ নিয়মিত পাশ না করলে
ডাক্তার হওয়ার আশা হতাশা হয়ে দাঁড়ায়!
নিয়মিত প্রফে বসতে না পারলে
হতাশা কল্পনার বাহিরে চলে যায়!

সব শেষে শুরু
ফাইনাল প্রফ নামক মহাযজ্ঞ!
ভাগ্য যার সহায় হয়,
পাশ করে ডাক্তার হওয়াটা তত ইজি হয়!

যদি স্যারদের সাথে কোনো পার্সোনাল ক্লেশ থাকে তাহলে তো পাশ করাটা দু:স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
ফার্স্ট প্রফ, সেকেন্ড প্রফ,  থার্ড প্রফ (বর্তমানে)
ও ফাইনাল প্রফ  পাশ করলে
ডাক্তার হওয়ার আশা টা পূর্ণ হয়ে যাবে!
এম বি বি এস পাশের পর শুরু হয়
ইন্টার্ণশীপ লাইফ,
ইন্টার্ণশীপ লাইফে রোস্টার অনুযায়ী প্রতিটা ওয়ার্ডে  ডিউটি শেষে
লগ বুকে ওয়ার্ডের সি এ, প্রফেসর, কো অর্ডিনেটর ও  বিভাগীয় প্রধানের সই নিয়ে লগবুক জমা দিতে হয় ডিরেক্টর অফিসে,
ইন্টার্ণ লাইফ শেষে  প্রিন্সিপ্যাল  ও ডাইরেক্টরের সইযুক্ত ইন্টার্ণশীপ সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সপ্তাহ দুয়েক!

এখানেই  শেষ নয়!
এতোকিছু পাড়ি দিয়েও ডাক্তারী পেশা প্র‍্যাকটিস করতে পারবেন না,
প্র‍্যাক্টিসের জন্য আপনাকে  বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন সনদ  সংগ্রহ করতে হবে ,
রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নগদ টাকা,
এম বি বি এস পাশের  ভার্সিটি সার্টিফিকেট  ও
ইন্টার্নশীপ ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে  সপ্তাহ দুয়েক থেকে মাসেক!
বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন  সনদ  পাওয়ার পর
ডাক্তার হিসেবে প্র‍্যাক্টিস করার বৈধতা পাবেন।

পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন সে তো মহারতী মেধাবীদের স্বপ্ন ভংগের ভিন্নরূপ!
এফ সি পি এস  ফার্স্ট পার্ট পাশ করে
ট্রেনিং এ ঢুকবেন  বিনামূল্যে মানব সেবা করে যাবেন...    বাপের টাকায় নিজের থাকা খাওয়া দাওয়াসহ যাবতীয় খরচ  চালাবেন।
বছরের  পর বছর অনাহারী নামক  মেডিকেল অফিসার হয়ে  বিনামূল্যে মানব সেবা দিয়ে
চূড়ান্ত পরীক্ষায়   পাশ হবার সম্ভাবনা ৫ পার্সেন্ট!
এফ সি পি এস  ডিগ্রীটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে,
ঠিক ধরি মাছ না ছুই পানি এর উলঠো!
পড়তে থাকবেন আর ট্রেনিং করতে থাকবেন,
পাশ সে তো স্বপ্নের বিষয়!
পাশের হার এতই নগন্য অনেকে কয়েক বছর ট্রেনিং করে এফসিপিএস ছেড়ে দিয়ে
এম ডি  / এম এস রেসিডেন্সী করছেন  না হয় দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছেন!
কয়েক বছর আগেও
এফ সি পি এস এর পাশাপাশি  অন্যান্য ডিগ্রীগুলো  কনটিনিউ করা যেত!
আর এখন সে সুযোগটাও শূন্য।!
মেডিকেলের পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন  ব্যবস্থা এতটা কঠিন  করে ফেলেছেন,
হতাশা ছাড়া মিটে কি আশা !
এত কিছুর পরে যখন মহত পেশায় নিয়োজিত হবেন, দেখবেন
অন্যান্য পেশার বন্ধু বান্ধবরা বাড়ি গাড়ি করে দেশ বিদেশ ভ্রমণে পাড়ি দিচ্ছেন।
নানা উতসব  আনন্দে  দিন কাটাচ্ছেন,
তখন  আপনি এতোটাই ব্যস্ত হয়ে উঠবেন,
দেশ বিদেশ তো দূরের কথা  পরিবারের সদস্যদের সাথেও ঠিকমতো সময় দিতে পারবেন না!  আপনার অনুপস্থিথিতেই
শত আচার অনুষ্ঠান আনন্দ শেষ হয়ে যাবে!
আপনি শুধু আফসোস করে যাবেন!
এতো কিছু ত্যাগের পর বুড়ো বয়সে পাবেন
স্বান্ত্বনা স্বরূপ কিছুটা খ্যাতি  আর অর্থ বিত্ত !
উপরের সব কিছুই ধ্রুব সত্য!
কল্পনা নহে !!

লেখা- ডা.স্বাধীন

email - DoctorShadhin@gmail.com
  







Share:

এবার মাঠে নামছেন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকরা...


পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি কলেজের শিক্ষকদের পর এবার নতুন বেতন কাঠামোয় বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য  ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা। তারা বেতন বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে তিনটি ইস্যু সামনে আনতে চান। এগুলো হচ্ছে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু। এসব দাবি আদায়ে আপাতত রাজধানী ও ঢাকার বাইরে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করার চিন্তাভাবনা চলছে। প্রয়োজনে হাইকোর্টে রিটও করতে পারেন। তবে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখার সিদ্ধান্ত হবে সারা দেশের চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। বিএমএ’র বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. কামরুল হাসান জানান, দুয়েক দিনের মধ্যেই বিএমএ’র এ সভা ডাকা হতে পারে। ওই সভায় আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি মেডিক্যাল শিক্ষকদের এই আন্দোলনের ব্যাপারে বিএমএ নেতাদের আগ্রহী করতে বেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে বিএমএ ছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও আন্দোলনের ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছেন। তারা বিএমএ’র পাশাপাশি সারা দেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য  ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের নিয়ে সমন্বিত মেডিক্যাল শিক্ষক পরিষদ গঠন করে আন্দোলনে নামার উদ্যোগ নিচ্ছেন। এ তৎপরতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নাক-কান-গলা রোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, সহসভাপতি ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়াসহ ৪-৫ জন শিক্ষক। তারা জানান, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ চলছে। খুব শিগগিরই বৈঠক করে আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। মেডিক্যাল শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে সব থেকে কঠিন মেডিক্যাল শিক্ষা। ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস পরীক্ষা পাস করা যেমন কঠিন, তেমনি পাস করার আগে কোর্স চলাকালীন আইটেম, কার্ড, টার্মসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মাথার ঘাম পায়ে ঝরে। এরপর এমবিবিএস পাস করে অন্য ক্যাডারের মতোই তাদেরও বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েই তবে সরকারি ডাক্তার এবং পরে পদোন্নতি পেতে পেতে অধ্যাপক হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করে সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তাছাড়াও ডাক্তার হওয়ার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস ভর্তির সুযোগ পাওয়া তো সোনার হরিণ ধরার মতোই। এত কাঠখড় পোড়ানোর পরও নতুন বেতন কাঠামোয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপককে রাখা হয়েছে থার্ড গ্রেডে। আর সচিবরা রয়েছেন ফার্স্ট গ্রেডে। কেন এই বৈষম্য? সচিবদের থেকে কোন দিক থেকে মেডিক্যাল শিক্ষকরা অযোগ্য? তারা প্রশ্ন রাখেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও কি তাদের থেকে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি যদি ন্যায্য হয়, তাহলে তাদের দাবি ন্যায্য হবে না কেন?

সুত্রঃ আমাদের সময়
Share:

এসব ডাক্তারদের অবদান তুলে ধরার কেউ নেই....


আপনার জন্ম যদি ১৯৯২ সালের পর হয়ে থাকে
এবং শিশু অবস্থায় ছোট-খাট জ্বর হবার পর জ্বর
কমানোর ঔষধ সেবন করেও আপনি যদি বেঁচে
থাকেন, তাহলে আপনার বেঁচে থাকার
পেছনে এই মানুষটার সামান্য অবদান থাকার
সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের সন্তান বা ছোট
ভাইবোন ঐ সময়ের পর জন্মগ্রহণ করেছেন,
তাদের জন্যও এই কথাটা প্রযোজ্য।

বাংলাদেশে শিশুদের জ্বরের ঔষধ
হিসেবে প্যারাসিটামল সিরাপ প্রচলিত।
১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেশ কিছু কোম্পানীর
প্যারাসিটামল সিরাপের মধ্যে বিষাক্ত
একটি উপাদান ছিল যার কারণে অনেক শিশু
প্যারাসিটামল সিরাপ গ্রহণের পর কিডনি
রোগে মারা গেছে। ডা. হানিফ সর্ব প্রথম
প্যারাসিটামল সিরাপের মধ্যে এই
বিষাক্ত উপাদানটি সনাক্ত করেন এবং এর
কারণে শিশুদের কিডনি রোগে মৃত্যুর কারণ
নির্নয় করেন।

১৯৮২ সালে ডা. হানিফ তৎকালীন পিজি
হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় শিশুদের
কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগে দায়িত্ব
পালনের সময় লক্ষ্য করেন যে অনেক শিশু
কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার
জন্য আসছে এবং তাদের সবাই শেষ পর্যন্ত
মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। বিষয়টির কারণ তখন
তিনি বা হাসপাতালের কোন ডাক্তারই
ধরতে পারেন নি। কিছুদিন পর তিনি উচ্চ
শিক্ষার্থে বিদেশে চলে যান। এর পর ৯০
সালের দিকে দেশে ফিরে এসেও তিনি
একই অবস্থা দেখতে পান। বিষয়টি তাঁকে
বিচলিত করে এবং বিস্তারিত অনুসন্ধান
করে দেখতে পান যে, এই কিডনি
রোগাক্রান্ত শিশুদের সবাই জ্বরে আক্রান্ত
হয়ে প্যারাসিটামল সিরাপ গ্রহণ করেছিল।
ডা. হানিফ বেশ কয়েকটি ঔষধ কোম্পানীর
তৈরী প্যারাসিটামল সিরাপ যুক্তরাষ্ট্রে
পরীক্ষার জন্য পাঠান এবং দেখতে পান যে,
কয়েকটি কোম্পানীর প্যারাসিটামল
সিরাপে বিষাক্ত ডাই-ইথিলিন গ্লাইকোল
রয়েছে যে কারণে শিশুদের কিডনি বিকল
হয়ে তারা মারা যাচ্ছে। তৎকালীন পিজি
হাসপাতাল বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে
দেখতে পায় কেবলমাত্র ১৯৮২ থেকে ১৯৯২
সময়কালে ঐ হাসপাতালেই প্রায় ২৭০০ শিশু
কিডনি বিকল হয়ে ডায়ালাইসিস করতে
এসে মৃত্যুবরণ করেছে। অন্যান্য হাসপাতালের
পরিসংখ্যান এবং হাসপাতালে চিকিৎসা
না নেয়া শিশুদের সংখ্যাটা বিবেচনায়
নিলে মৃত্যুর সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি
হবে বলেই ধরে নেয়া যায়।

বিষয়টি ধরা পরার পর ১৯৯২ সালে ড্রাগ
কোর্টে চারটি ঔষধ কোম্পানীর বিরুদ্ধে
মামলা হয়। বলা বাহুল্য ঔষধ কোম্পানীগুলো
বিত্তবানদের প্রতিষ্ঠান তাই তারা ১৯৯৪
সালে হাইকোর্টে গিয়ে মামলাটি
স্থগিত করে দেয়। শুধু তাই নয়, ড্রাগ কোর্টের
কর্মচারীদের সহায়তায় মামলার নথিপত্র
পর্যন্ত গায়েব করে দেয়া হয়। ২০০৯ সালে
যখন আবারো ডাই-ইথিলিন গ্লাইকোল
মিশ্রিত বিষাক্ত প্যারাসিটামল সিরাপ
সেবন করে নতুন করে কিছু শিশু আক্রান্ত হলো
তখন আবার সেই মামলা চালানোর ব্যবস্থা
করা হয় এবং সেটিও এই ডা. হানিফেরই
কারণে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এই ১৪ বছরে
বাংলাদেশ ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন বা
সরকারের এটর্নি জেনারেল কেউই
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের
জন্য চেষ্টা করেন নাই।

যে ঔষধ কোম্পানীর প্যারাসিটামল সিরাপ
সেবন করে সবচেয়ে বেশি শিশু নিহত
হয়েছে সেই ঔষধ কোম্পানী এডফ্লাম এর
মালিক হেলনা পাশাকে ড্রাগ কোর্টের
রায়ে ২০১৪ সালের ২২ জুলাই ১০ বছরের
কারাদণ্ড দেয়া হয় কিন্তু মাত্র ৫২ দিন
কারাবাস করে তিনি একই বছর ১১ সেপ্টেম্বর
হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে বেড় হয়ে
আসেন। মামলায় নিযুক্ত সরকারী ডেপুটি
এটর্নি জেনারেল শফিউল বাশার
ভাণ্ডারী হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে
আপিল করেননি। শত শত শিশু নিহতের জন্য
দায়ী একজন মানুষ এভাবেই শাস্তি থেকে
রক্ষা পেয়ে যান।

এই বিষাক্ত প্যারাসিটামল সিরাপের
বিষয়ে লেখালেখি করার কারণে এবং
বারবার বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর
পারাসিটামল সিরাপ পরীক্ষা করে তাতে
বিষাক্ত ডাই-ইথিলিন গ্লাইকোল সনাক্ত
করার কারণে ডা. হানিফকে কম ভোগান্তি
পোহাতে হয়নি। ঔষধ কোম্পানীগুলো
বারবার তাঁকে কোর্টে নিয়ে নিজেদের
উকিল দিয়ে হেনস্তা করেছে এবং তাঁকে
একঘরে করে রাখার চেষ্টা করেছে। ঘুষ
দিয়ে ড্রাগ কোর্টের কর্মচারীদের
সহায়তায় উনার সরবরাহ করা ল্যাবরেটরি
টেস্ট রিপোর্ট সরিয়ে ফেলে উনাকে
মিথ্যাবাদী এবং ঔষধ শিল্পের জন্য
ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করার
চেষ্টাও করা হয়েছে।

কিন্তু ডা. হানিফ থেমে থাকেন নি।
তিনি নির্ভয়ে কোর্টে গিয়ে বারবার
তার গবেষণা প্রতিবেদন এবং ল্যাবরেটরি
টেস্টের ফলাফল উপস্থাপন করে শিশুদের
জীবন রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই গরিব।
এখানে চিকিৎসা পদ্ধতিও বেশ অদ্ভুত।
বেশি টাকা দিয়ে বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকের কাছে না যেতে পারলেও
মানুষ কষ্ট করে সরকারী হাসপাতালে
যেতে চায় না। তারা প্রথমে চেষ্টা করে
রোগের বর্ননা দিয়ে কাছাকাছি কোন
ফার্মেসি হতে ঔষধ সংগ্রহ করতে। তাছাড়া
পল্লী চিকিৎসক, সরকারী হাসপাতাল বা
মেডিকেল সেন্টারগুলোর ডাক্তাররাও
অনেক সময় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ
দের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অখ্যাত ঔষধ
কোম্পানীর ঔষধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিষাক্ত ঔষধ সেবন করে
ঠিক কত শিশু মৃত্যুবরন করেছে, তা নির্নয় করা
আসলেই কঠিন একটা কাজ।

এই ঘটনা উন্নত কোন দেশে ঘটলে সরকার/
আদালত ঐ সব ঔষধ কোম্পানীগুলোকে বাধ্য
করত নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দিতে।
এবং বিষাক্ত ঔষধ সনাক্ত করে লাখো শিশুর
জীবন রক্ষার জন্য ডা. হানিফ পেতেন
পুরষ্কার ও সম্মান।

বাংলাদেশে চলে তার নিজস্ব মডেলে।
তাই ঐসব ঔষধ কোম্পানীর বিরুদ্ধে
জরিমানা হয় না, শিশু হত্যাকারীরা
জামিনে বেড় হয়ে আসে, ক্ষতিপুরণের তো
প্রশ্নই আসে না, আর ডা. হানিফ রয়ে যান
উপেক্ষিত; অবহেলিত।

সরকার ডা. হানিফকে সম্মান না দেখাক।
আমি, আপনি এবং আমরা উনাকে সম্মানিত
করতে পারি আমাদের সমগ্র ভালবাসা
দিয়ে। আমার দুইটি সন্তান আছে। তারাও
শিশুকালে জ্বরে ভুগেছে এবং জ্বরের জন্য
ঔষধ সেবন করেছে। ওদের যে বিষাক্ত
প্যারাসিটামল সিরাপ সেবন করতে হয়নি
তার জন্য আমি ডা. মোহাম্মদ হানিফ এর
কাছে কৃতজ্ঞ এবং ঋণী।


বিষাক্ত প্যারাসিটামল সিরাপ সংক্রান্ত ডা. হানিফের আর্টিকেল: http://goo.gl/Zz9MaK
গুগল স্কলারে ডা. হানিফের আর্টিকেলসমূহের লিংক: https://goo.gl/0M96eP




Share:

প্রশ্ন যদি হবে ফাঁস ! পড়বো কেনো বারো মাস!

লেখা - ডা. স্বাধীন


প্রশ্ন যদি হবে ফাঁস !
পড়বো কেনো বারো মাস!
এবার শিওর ছিলাম ছোট ভাই
ডিএমসি তে চান্স পাবে,
কিন্তু হলো না...
বৈধভাবে ১৮৪.২৫ স্কোর নিয়ে তার চান্স হলো
স্যার সলিমুল্লাহ  মেডিকেল কলেজে ।
এত স্কোর পেয়েও তার জাতীয় মেধা পজিশন ৩২৭তম - বিশ্বাস হচ্ছে না ।

ছোট ভাই ইমরানকে নিয়ে যখন স্ট্যাটাস  দিলাম ।
অনেকে কমেন্ট  করেছেন  কয় লাখ টাকা লেগেছে,
কমেন্টে ছোট ভাই রিপ্লে দিয়েছে
বেশি না ভাই, ৭৫০ টাকা লাগছে ফরম নিতে,
 আর ১০ টাকা লেগেছে এ্যাডমিট কার্ড নিতে।

সত্যিকারের মেধাবীদেরকেও আজ নাজেহাল হতে হচ্ছে, গুটি কয়েক কুচক্রী মহলের জন্য।

মেধাবীরা হলো বঞ্ছিত,
মেডিকেল হলো লাঞ্ছিত।
২০০৬ সালে মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস,
আমাদের ব্যাচের করেছিলো সর্বনাশ!

২০১৫ সালে প্রযুক্তির যুগেও
মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস ,
মেধাবী জাতির করলো  সর্বনাশ।
Share:

Failure is the Pillar of Medical Science


  লেখা -  ডা.স্বাধীন  

অনেকে বলছেন  ,যেখানে মেডিকেলের প্রফ পরীক্ষার রিটেন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় ,
সেখানে এডমিশন টেস্ট কোনো ব্যাপার না !
আমি তাদের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করছি ,
মেডিকেল শুধু  এম.সি.কিউ কিংবা রিটেন দিয়ে শেষ নয় ,
মেডিকেলে পাশ করতে হলে আপনাকে নিয়মিত আইটেম পাশ করতে হবে তাও আবার স্যার - ম্যাডামদের সামনে ভাইভা দিয়ে ।
আইটেম সব ক্লিয়ার হলে আপনাকে মোকাবিলা করতে  হবে কার্ড পরীক্ষা-
সেখানে রিটেন - ভাইভা - প্রাক্টিক্যাল  তথা OSPE , শর্ট কেইস - লং কেইস   সব আলাদা আলাদা পাশ করতে হবে ,
একই নিয়মে কয়েকটি কার্ড পাশ করার পর আপনাকে টার্ম পাশ করতে হবে ,
সব টার্ম পরীক্ষা পাশ করার পর আপনাকে লড়তে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া  প্রফ পরীক্ষা তথা পেশাগত পরীক্ষা ,
সে পেশাগত পরীক্ষার রিটেন  খাতা চলে যাবে ভার্সিটিতে ,
রিটেন শেষ হলে   একযোগে শুরু হবে সেন্ট্রাল  OSPE পরীক্ষা ,
সে পরীক্ষা এক দলকে  রুমে বন্ধী করে আরেকদলের  বেল বাজিয়ে ষ্টেশন - টু ষ্টেশন পরীক্ষা শুরু হয় , প্রতিটা ষ্টেশনে বিভিন্ন সিনারিও, এক্স রে ফিল্ম, ই সি জি , ফটোগ্রাফ , ভিসেরা , বোনস,  ডাটা , অপারশনের ইন্সট্রুমেন্ট , লেবেলহীন ড্রাগ ও বিভিন্ন প্রসিডিউর থাকে ।
প্রতিটা ষ্টেশন ২-৩ মিনিটে  আইডেনটিফাই করে ,
ঐ রিলেটেড উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উত্তর পত্র ঝুড়িতে  রাখতে হয় ,
এভাবে এক দলের প্রতিটা  ষ্টেশনের সময় শেষ হলে ,
বন্ধী রাখা পরীক্ষার্থীদের  OSPE রুমে প্রবেশ করানো হয় ।
২-৩ টা ষ্টেশন যদি ভুল করে আসে তবে
প্রফ পাশের সব সাধনায় ওখানেই শেষ ।

বিশেষ করে সার্জারী ফার্স্ট পার্টে  ষ্টশনের প্রশ্নগুলোর উত্তর অনেক বড় হওয়ায়,
 উত্তর লেখার পূর্বেই বেল বেজে উঠে - সময় ফুরিয়ে যায় ।

এই কঠিন সার্কাস  শেষ হলে কয়েকদিনপর শুরু হয় ,
মেডিকেলীয় আসল পরীক্ষা ভাইভা- শর্ট কেইস , লং কেইস ।
ভাইভা নিতে আসেন ভার্সিটি থেকে সিলেক্ট করা স্যারেরা
অমুক মেডিকেলের প্রফেসর  তমুক মেডিকেলের এক্সটার্নাল হয়ে ভাইভা নিতে আসেন ।
যে সব স্যারকে মেডিকেল পরীক্ষার্থী ভাইভার পূর্বে আগে কখনো দেখে নি
,
এমন আজানা , আচেনা স্যারদের সামনে পরীক্ষা দিতে অনেক নার্ভাসনেস কাজ করে , যতো ভালো প্রিপারেশন থাকুক না কেনো ।

ভাইভাতে এমনো হয় অনেক ভালো ছাত্রেরও থ্রট ব্লক হয়ে যায় ,
সব কিছু জানার পরও  অতি নার্ভাসনেসের কারনে নিজের নাম বলতে  আটকে যায় ।

অনেকের ভাইভাতে এমনও হয় ,
প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর ভালো করে পারে ,
কিন্তু গুটিকয়েকে যা ভালো করে পড়ে নাই
সেগুলোর বিশদ উত্তর জানতে চাই এক্সটার্নাল ।

 যদি সেকেন্ডের জন্য
কোনো পরীক্ষার্থীর উপর স্যারের বেড ইমপ্রেশন তথা বদ নজর পড়ে ,
তাহলে কথায় নেই ...
মুহুর্তেই জান কোরবান - নিশ্চিত পরীক্ষায় ফেল ।

যে ছেলেটি  ভাইভা বোর্ডে এসে ২- ৩ নাম্বারের জন্য ফেল করে
তার দুঃখের অন্ত নেই ।
যে ছেলেটি ক্লাসের  ফার্স্ট হয়েও রিটেন - ভাইভাতে অনেক ভালো নাম্বার পেয়ে পাশ করার পর , যখন শুনে  OSPE  তে ফেল ।

ছেলেটি অনেক মেধাবী হউক কিংবা ভালো হউক
OSPE তে ফেল করায়
তখন সে পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট দাঁড়ায় ফেল ।

ফলাফল - তাকে ৬ মাসের বন্দী কারাঘারে জীবন পার করে
আবার সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষায় বসে  ভাইভা- রিটেন- central OSPE শর্ট কেইস - লং কেইস সব পাশ করতে হবে  ।

ভাইভা রিটেনে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে সেট্রাল OSPE তে ফেল করেছে এমন অনেক নজির মেডিকেলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ।

আবার অনেকের ভাগ্যটা এতটাই  খারাপ
প্রায় সবকিছু পাশ করেও কেবল শর্ট কেইস কিংবা লং কেইসে ফেল করায়
পুরো রেজাল্ট ফেল চলে আসে ।
পাশ মার্ক ৬০ নাম্বারের চেয়ে ২-৪ কম পাওয়ায় কত ছাত্রের জীবন থেকে
 হারিয়ে যাচ্ছে কত মূল্যবান সময় !!


স্কুল কলেজে ফার্স্ট   যে কোনোদিন ফেল করে নি ,
সে মেডিকেলে  এসে ফেল করবে , এটাই স্বাভাবিক !
মেডিকেলে এসে কোনো না কোনো পরীক্ষায় ফেল করে নি ,
এমন ছাত্রের সংখ্যা অতি নগন্য ।

মেডিকেলে পাশ ফেল কোনো ব্যাপারই না ,

Failure is the Pillar of Medical Science.

এম.বি.বি.এস যত কঠিন হউক না কেনো,
পরীক্ষা দিতে দিতে
একদিন না একদিন  এম.বি.বি.এস  পাশ হবেই।

সো নিরাশ হবেন না, ডাক্তার একদিন হবেনই ।




Share:

চিকিতসকদ্বয়ের রিপোর্ট নির্ভুল, পেশেন্টের কোনো ব্লাড ক্যান্সার নেই,

প্যাথলজি ল্যাবগুলোর ভুল কিংবা সাংঘর্ষিক রিপোর্টের কারণে অনেক রোগী বাড়তি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত,
ভুল রিপোর্টের কারনে  একদিকে রোগীর শারীরিক,  মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
অন্যদিকে চিকিতসক ও রোগীদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি বাড়ছে ।

এমন এমন কিছু কিছু রিপোর্ট চোখে পড়েছে,
যা  দেখে মেজাজটাই নষ্ট হয়ে গেছে,

একটা রোগীর CBC রিপোর্টে
সবকিছু মোটামুটি ঠিক আছে,
কিন্তু Atypical Cell - 20%
আর কমেন্টসে  লেখা Suggestive to Leukaemia  তথা  ব্লাড ক্যান্সার  ।
রিপোর্ট  অনুযায়ী পেশেন্ট পার্টিকে কাউন্সিলিং করা হলো,
রিপোর্টে  আপনার পেশেন্ট এর ব্লাড  ক্যান্সার ধরা পড়েছে,
তবে আমি এই রিপোর্টে   সন্তুষ্ট  না,
সন্দেহ পোষন করছি,

আপনারা অমুক স্যারকে দিয়ে আবার রিপোর্ট করান তখন শিওর হয়ে আপনাদেরকে পরবর্তী চিকিতসা জানাবো,
ঐ স্যার ও আরেকজন সিনিয়র স্যারকে দিয়ে রিপোর্ট  করা হলো,
দুই স্যারের রিপোর্টে    Atypical Cell তো একটাও পাওয়া যায় নি, এবং leukaemia এর
ফেভারে কোনো কিছু পাওয়া যায় নি।

 চিকিতসকদ্বয়ের  রিপোর্ট  নির্ভুল,
পেশেন্টের কোনো ব্লাড ক্যান্সার নেই,
পূর্বের রিপোর্টটা  খামখেয়ালি করে যে ল্যাব ইনচার্জ করিয়েছেন ,
তার কি হবে?
তার খামখেয়ালিরর কারনে কি, একজন সুস্থ মানুষ ক্যান্সার বনে যাবেন!

না,
না,
এটা চলতে দেয়া যায় না,

ঐ সমস্ত ল্যাবগুলোর বিরুদ্ধে এ্যকশনে যাওয়া দরকার,
হয় ভালো প্যাথলজির চিকিতসক দিয়ে রিপোর্ট তৈরী করবে না হয়,
ল্যাব গুটিয়ে পালাবে,
মানুষের জীবন নিয়ে তো চিনিমিনি
খেলতে দেয়া যাবে না।

তাই রোগীর যেকোনো পরীক্ষা নিরিক্ষা করার সময়, রিপোর্টটা যাতে ভাল চিকিতসক দিয়ে করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

রাস্তাঘাটে নালা- নর্দমার মত ফুটপাতে  ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ল্যাব থেকে  ভুলেও কোনোদিন রোগীর পরীক্ষা করাবেন না।
যে সব ল্যাবে ভাল ভাল চিকিতসকগন রিপোর্ট  করেন,
সে সব ল্যাব থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাবেন।

---   ডা.স্বাধীন
Share:

প্রফেসর ডাঃ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ.. বাংলাদেশে নিউরো মেডিসিন এর অন্যতম পথিকৃৎ


তার নাম প্রফেসর ডাঃ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।।
বাংলাদেশে নিউরো মেডিসিন এর অন্যতম পথিকৃৎ।।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ।।
স্যারের নামে অনেক মিথ আছে, যেমন- তার ক্লাসে লেকচার গ্যালারির সিঁড়ি পর্যন্ত খালি থাকে না, যে ছেলেটি সারা সপ্তাহ ক্লাস করে না সেও ক্যান্টিনের সিংগারা চিবুতে চিবুতে ক্লাসের দিকে আগায়, স্যারকে চেম্বারে দেখাতে ছয়মাস আগে সিরিয়াল লেখাতে হয়।।
আমার এখন প্লেসমেন্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ২১৮ নম্বর ওয়ার্ডে যা "কাকা" স্যারের ওয়ার্ড নামে পরিচিত। এই ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ হাফিজ স্যারের মুখে শোনা এই গল্প।
দ্বীন মোহাম্মদ স্যার বেশ ব্যস্ত মানুষ। তাই আমলা তথা সচিবদের সব সময় তিনি বেশি সময় নিয়ে দেখেন না।
তো একবার, তার কাছে এক আমলা এলেন। তার সমস্যা ছিল পায়ে ব্যথা আর হাটতে না পারা।
স্যার উনাকে বললেন দাড়িয়ে আবার বসতে। উনি কথামত দাড়িয়ে বসলেন। স্যার উনাকে বললেন, " আপনার GBS (Guillain–Barré syndrome) আছে। " এই বলে ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করে দিলেন। সচিব সাহেব স্যার তাকে বেডে শুইয়ে ভালভাবে না পরীক্ষা করাতে একটু ক্ষিপ্ত হলেন।
তিনি টাকা ম্যানেজ করে সিংগাপুর চলে গেলেন। সেখানে প্রখ্যাত এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন। সেখানের ডাক্তাররা তাকে একমাস বেশ ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন। তারপর তারা রায় দিলেন যে উনার GBS (Guillain–Barré syndrome) হয়েছে যা দ্বীন মোহাম্মদ স্যার বেশ আগেই বলেছিলেন।
রিপোর্ট দেখে সচিব সাহেব বেশ অবাক হলেন। তিনি দেশে ফিরে কিছুটা ক্ষোভ আর বিস্ময় নিয়ে আবার দ্বীন মোহাম্মদ স্যারের কাছে গেলেন। গিয়ে বললেনঃ আপনার প্রতি আমার কিছুটা ক্ষোভ আছে আর শ্রদ্ধা আছে। শ্রদ্ধা এই জন্য যে, সিংগাপুরে একমাস লাগিয়ে যে রোগ বের হল তা আপনি এক দেখাতেই বলে দিলেন!
আর ক্ষোভ এই কারনে যে, সেইদিন যদি আপনি আমাকে বেডে শুইয়ে একটু পরীক্ষা করতেন তাহলে আমাকে ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ করে সিংগাপুরে যেতে হত না।
কাউকে ছোট বা অপমান করে কিছু লিখিনি। শুধু বলতে চাই, দুই ঘন্টা গরমের মধ্যে ওয়ার্ডে দাড়িয়ে ঘামে ভিজে হাসিমুখে রোগীর হিস্ট্রি নেয়ার যে কি অনুভূতি তা আগে জানুন, তারপর ডাক্তারদের গালি দিবেন। আমাদের দেশের ডাক্তাররাও বেশ হাইলি কোয়ালিফাইড। ইউরোপ-আমেরিকায় যে Davidson's Medicine বা Robbin's Pathology পড়ানো হয় আমরাও তাই পড়ি। পার্থক্য শুধু একটাই, তাদের আছে সেন্ট্রাল এসি হাসপাতাল আর চকচকে লেমিনেটেড পাতার বই আর আমাদের স্বল্প ফ্যানযুক্ত ওয়ার্ডে নিলক্ষেতের ফটোকপি বই দিয়েই কাজ চালাতে হয়।।



লিখেছেন- Ashiqur Rahman Akash






Share:

ডেঙ্গু জ্বর হলে কী করবেন.....


মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস, বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ডেঙ্গু জ্বর বেশি হচ্ছে। শীতকালে সাধারণত এই জ্বর হয় না বললেই চলে। শীতে লার্ভা অবস্থায় এই মশা অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে। বর্ষার শুরুতে সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাসবাহিত মশা বিস্তার লাভ করে।
Share:

এমবিবিএস ডিগ্রীটা যেন হাতের মোয়া, চাইলেই পাওয়া যায়




রাত ১১টায় ইমার্জেন্সী থেকে কেবিনে একটা পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে,
জ্বর ও টিবির হিস্টরি নিয়ে।
একজন প্রফেসরকে অন কল দেয়া হলো, তিনি চেম্বার শেষ করে রোগীকে দেখতে আসবেন বলেছেন,
কিন্তু রোগীর এটেনডেন্ট  বার বার ডক্টরস রুমে এসে বলে,
স্যার কতক্ষণে আসবেন,
স্যারকে  তাড়াতাড়ি আসতে বলেন,

এটেনডেন্টের ভংগিমা দেখে  মনে হলো স্যার যেন  উনার কেনা গোলাম!

স্যারের চেম্বারে ফোন দিলাম,
পিয়ন ধরে বললো স্যার রাতের খাবার খাচ্ছে, কিছুক্ষন পরে কল দিয়েন।
Share:

মানুষ গড়ার কারিগর প্রফেসর হারুন স্যার আর আমাদের মাঝে নেই ।

প্রিয় প্রফেসর হারুন উর রশিদ স্যার
আপনাকে হারনোর বেদনা আমরা কখনো ভুলতে পারবো না,
আজ জাতি একজন অভিভাবককে হারালো।
একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে হারালো।
মানুষের মন জয় করার মহত পেশা শিক্ষকতা,
সেই মহত পেশাকে ধারন করে যিনি
জয় করে নিয়েছেন লাখো কোটি মানুষের হৃদয়।
ভাবতেই অবাক লাগে উনি আমাদের মাঝে নেই।

Share:

যারা জীবনে সফল হতে পারেননি তারা একবার পড়ুন...

আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি জীবনে বড় হবো। কেউ হয়তো শুধু স্বপ্ন দেখি, কেউ হয়তো স্বপ্নটাকে ছোয়ার জন্য আরাম আয়েশ ত্যাগ করে রাতদিন খাটি। কিন্তু দেখা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা সফল হইনা। যখন ব্যার্থ হই তখন দেখা যায় আর পুনরায় পরিশ্রম করবার মত সময় নেই। ডুবে যেতে হয় হতাশায়। ব্যার্থতা আর হতাশা তখন আমাদের সব উদ্যম নষ্ট করে দেয়।

না এখানেই সব শেষ নয়।

যেখান থেকে শেষ সেখান থেকে শুরু করে দেখুন।



আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন (জন্ম: ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৮০৯ - মৃত্যু: ১৫ এপ্রিল, ১৮৬৫) এর কথাই ধরি, আজকে শুধু তার দৃষ্টান্ত দেখাবো, পরবর্তীতে ব্যার্থতা থেকে সফলতার অনেক গুলো পর্ব নিয়ে আসবার ইচ্ছা থাকলো। ব্যর্থতাকে কিভাবে জয়ে পরিনত করতে হয়, নতুন করে শুরু করতে হয়, একবার হারিয়েছি বলে সব শেষ হয়ে গিয়েছে এটাই শেষ কথা নয়। একবার না পারিলে দেখো শতবার কথাটা যে সত্য সেটার সার্থকতা আপনিও প্রমান করতে পারবেন।

Share:

সবজি বিক্রি করে হাসপাতাল গড়েছেন যিনি




২৩ বছর বয়সে স্বামী হারিয়েছিলেন সুভাসিনী৷ স্বামীর মৃত্যুর পরই ভেবেছিলেন তাদের মতো গরিবদের জন্য কিছু করবেন৷ পথে পথে সবজি বেচে সামান্য কিছু টাকা জমিয়ে জমিয়ে একটা হাসপাতাল গড়ে ফেলেছেন সুভাসিনী মিস্ত্রী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার হংসপুকুর এখন অনেকেই চেনেন৷ চেনেন সুভাসিনী মিস্ত্রী নামের অতি সাধারণ এক নারীর কারণে৷ অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সুভাসিনীর বিয়ে হয়েছিল এক দিনমজুরের সঙ্গে৷ সুভাসিনীর বয়স তখন ১২৷
Share:

ডাক্তার না হয়েও সত্যি চমৎকার লিখেছেন তিনি-

ডাক্তার না হয়েও সত্যি চমৎকার লিখেছেন তিনি-
ডাক্তারদের পাশ করতে এমনিতেই গড়ে ২/৩ বছর বেশী লাগে (MBBS এর duration এর কারণে), গড়ে ৬ বছর, ৫ বছর কোর্স আর ১ বছর ইন্টার্নি (সেশন জট থাকলে আরও বেশী) । তার মানে অন্য কোন বিষয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের থেকে ২/৩ বছর জুনিয়ররা এক সাথে পাশ করে বিসিএস দেয়। এরপর ধরে নিলাম, বিসিএসে ঢুকল। আপনারা কি জানেন প্রশাসনে ডাক্তারদের রাঙ্কিং কি? এক সাথে একই ব্যাচে ঢুকেও ডাক্তারকে স্যার বলতে হয় ৪/৫ জনকে। যারা তার থেকে ২ বছর ছোট।
অন্যদের উপজেলা পরিষদে থাকবার বসবার জায়গা আছে, এমন কি গাড়িও আছে কারও কারও, আর ডাক্তারদের পোস্টিং হয় ইউনিয়ন লেভেলে। ইউনিয়নের মেম্বারের বাড়ির চাকরের জ্বর হলেও ডাক্তারকে রাত ৩ টায় তাকে বাড়ি যেয়ে দেখে আসতে হবে, না হলে কপালে মার আছে।
সরকারী হাসপাতালে ডাক্তাররা কি করেন? ফাকি মারেন তাই না? ডাক্তার নাই, তারপরও যারা আছেন তারা গড়ে শুধু আউটডোরেই ১১০ জনের উপরে রুগী দেখেন। আর ইউকেতে একজন জিপি গড়ে ৩০-৪০ জন রুগী দেখেন। পার্থক্যটা দেখেন, কোয়ালিটি কেন ভালো এখানে বুঝতে পারবেন। আর জানিয়ে রাখি এই ডাক্তারদের একটা বড় অংশ কিন্তু বাংলাদেশের ডাক্তার। দেশে তারা “ভুল চিকিৎসা” করলেও ইউকেতে কিন্তু তাদের পারফরমেন্স খুব ভালো, তারাই সেখানে বিশ্বমানের সেবা দিয়ে থাকেন।
আমার স্ত্রীর কয়েকজন বন্ধুদের দেখেছি যারা ওখানে জিপি হয়ে গেছেন। এই ডাক্তাররা যখন এদেশে সরকারী চাকরি করে তখন বেতন শুরু করে ১৯,০০০ টাকায় আর বাইরের যে কোন উন্নত দেশে সর্বোচ্চ বেতন বরাদ্দ থাকে ডাক্তারদের জন্য। ইউকেতে জিপির (জেনারেল প্রাক্টিসনার) না ট্রেইনি ডাক্তারের বেতনও শুরু হয় বাংলাদেশী টাকায় ২,৫০,০০০ টাকায়। আর নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে (সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা) কাজ করলে তার জন্য আলাদা পয়সা দেয়া হয়। আমরা না মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে যাচ্ছি? যারা নিজেদের ডেভেলপড কান্ট্রি বলে, তারাতো সঙ্গত কারনেই ডাক্তারদের বেশী বেতন দেয়। তাই নিজেদের উন্নয়নের জন্য এই পরিবর্তনও জরুরী।
( http://www.practicelink.com/magazine/vital-stats/physician-compensation-worldwide/ )।
এবার ইউকে ডাক্তার দেখানোর অভিজ্ঞতার কথা বলি, একবার আমি সার্জারিতে গেলাম খুব ব্যাক পেইন নিয়ে। রিসেপশানে কম্পিউটার চেক করে রিসেপশনিশ্ট বলল ১৭ দিন পর দুপুর ২:৩০ টায় আপনি দেখাতে পারবেন। জি, ১৭ দিন পরের কথায় বলেছিল।(যারা এই তথ্য ভুল প্রমান করতে চান তারা দয়া করে এই লিঙ্কে গিয়ে ভুলটা ধরিয়ে দিবেন http://
www.nhs.uk/Services/GP/Overview/
DefaultView.aspx?id=40793 )। বাংলাদেশে ডাক্তার নাই, ফাঁকিবাজ সব। কিন্তু এমন কখনও কি হয়েছে আপনি সরকারী হাসপাতালে গেছেন আর আপনাকে না দেখে ফিরিয়ে দিয়েছে, তো সেটা রাত ৪ টা হলেও। বা বেড খালি নাই সে জন্য বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে? আমি নিশ্চিত বলতে পারি দেয়নি। আমার স্ত্রীর ২ দিনের লেবার পেইন থাকা সত্ত্বেও ইউকেতে কিন্তু আমার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে- বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে। (হাসপাতালের ঠিকানা এখানে পাবেন http://
www.bhrhospitals.nhs.uk/for-patients-and-visitors/queens-hospital.htm তারিখ ছিল ৩/১১/২০১০ এবং ১৪/১১/২০১০)। বাংলাদেশে কি কখনও শুনেছেন আজ হসপিটালের অমুক ডাক্তারের ২৫টা রুগী দেখা হয়ে গেছে আজ আর দেখবেন না, কাল সকালে আসেন। বাইরে কিন্তু শুনবেন। শুধু এই দেশেই হাসপাতালে ৫০০ বেড, রুগী ভর্তি আছে ১৫০০, তারপরও ৩০০ রোগী যাক, দেখবেন বারান্দায় পাটি বিছিয়ে দিয়ে ভর্তি করে নিয়েছে।
বলে নেয়া ভালো, বেড খালি না থাকলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবার পলিসি কিন্তু কুইনস হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের ছিল, ডাক্তারদের না। তেমনই বারডেমের বা বিএসএমএমইউ তে কয়টি আইসিইউ বেড থাকবে, বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের, যে ডাক্তার ওখানে দায়িত্ব পালন করেন, এগুলো উনার এখতিয়ার ভুক্ত না। উনি চাইলেই ১টা বেড ওখানে বাড়াতে পারেন না। তাই যদি আইসিইউ দরকার হয় সেক্ষেত্রে বেড খালি না থাকলে আপনাকে ডাক্তার অন্য হসপিটালে যাইতে বলতে পারেন। কারন যার আইসিইউ দরকার হয় তাকে পাটি বিছিয়ে রাখলে হয়না, প্রত্যেকের জন্য আনুষঙ্গিক অনেক যন্ত্রপাতি দরকার হয়।
যাদের ডাক্তারদের প্রতি বিস্তর ক্ষোব, তাদের প্রতি অনুরোধ ডাক্তারদের প্রতি একটু মানবিক হন। একজন অনারারী ডাক্তারকে সপ্তাহে কত দিন, কত ঘণ্টা কাজ করতে হয় একটু খোঁজ নেন। হসপিটাল থেকে ক্লিনিক আর ক্লিনিক থেকে হসপিটাল করে। খাওয়া ঘুমের কোন নিয়ম নাই। আর এই মেধা, পরিশ্রম দিয়ে এত বছর পর তারা কত টাকা আয় করে জানেন? ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা। যেখানে তার সাথে স্কুল কলেজে পড়ুয়া কম মেধাবীরাও ৯-৫ টা অফিস করে কেউ কেউ লাখের উপরে বেতন পায়। ডাক্তারদের জন্য নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ঠিক করেন (৪০ ঘণ্টা যা অন্যরা করে), এর বেশী কাজ করতে হলে তাকে আলাদা করে পয়সা দেন, দেখবেন হাসপাতালে ডাক্তার থাকছেন । এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাক্তার রাখতে হলে বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে মেধার মূল্যায়ন অনুযায়ী প্রণোদনা দেন দেখবেন ঠিকই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাক্তার থাকছেন। ব্যাংকের জন্য যদি আলাদা বেতন স্কেল হতে পারে, ডাক্তারদের জন্য কেন নয়? যারা বাঙ্কে চাকরি করে তারা কি ডাক্তারদের থেকে বেশি মেধাবী না কি বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে? একজন ব্যাংকারের ২ বছর অভিজ্ঞতা হলে যদি ৪০,০০০ বেতন পায়। ডাক্তারকে অন্ততপক্ষে ৪০,০০০ দিয়ে বেতন শুরু করেন, কারন ডাক্তার ২ বছর অতিরিক্ত পড়াশুনার পিছনে ব্যয় করেছেন আর এই সময় তিনি আয় করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
দিনের পর দিন কোন ব্রেক ছাড়া কাজ করলে আপনারা যে কেউই রুক্ষ হয়ে পড়বেন, একটু উনিশ বিশ হলে ধমক দিবেন। ডাক্তারদের একটু মানসিক আর শারীরিক বিশ্রামের সুযোগ দেন, দেখবেন উনাদের ব্যাবহারেই আপনি অর্ধেক ভালো হয়ে গেছেন। আর এই জন্য দরকার রাষ্ট্রের পলিসি লেভেলে কিছু পরিবর্তন।
শুরুতেই বলেছি এদেশের ডাক্তাররা যথেষ্ট যোগ্য, তাই পশ্চিমে উনাদের জায়গা করে নিতে তেমন বেগ পেতে হয়না। এভাবে চলতে থাকলে কিন্তু তার শেষটা আমাদের আর এই দেশের মানুষকেই ভোগ করতে হবে।
এখন আপনারা বিবেচনা করেন কি করবেন?







Share:

বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সাফল্য-শিশুর নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় সাশ্রয়ী উপায়

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য স্বল্প খরচে কার্যকর চিকিৎসাপদ্ধতি বের করেছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) একদল বিজ্ঞানী।
নিরবচ্ছিন্ন বায়ুপ্রবাহ ব্যবহার করে নতুন এ পদ্ধতি প্রচলিত চিকিৎসা উপকরণের চেয়ে কার্যকরভাবে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখে। মূলত এটি বাবল-সিপাপের একটি সাশ্রয়ী বিকল্প কৌশল।
Share:

সকল কোম্পানীর ঔষধের মূল্যসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে QIMP-17 বই পিডিএফ ডাউনলোড করুন


সকল কোম্পানীর ঔষধের মূল্যসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে QIMP-17
 বই  পিডিএফ ডাউনলোড করুন

 ঔঘশঝ-17
                                       Downlaod Link QIMP-17


কুইক ইন্ডেক্স অফ মেডিকেল প্রোডাক্টস এন্ড প্রোবলেমস   বই ।
Share:

সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর




২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএসের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার নতুন পুনর্নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। দেশের সকল মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর।
রোববার পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়। এর আগে ভর্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ অক্টোবর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরীক্ষিত চৌধুরী তারিখ পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Share:

৫১ ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, না কেনার অনুরোধ সরকারের-

রেনাটা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, অপসোনিন, বেক্সিমকো, দ্য ইবনে সিনাসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির উৎপাদিত ৫১টি ওষুধের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে ওষুধ প্রশাষন অধিদপ্তর। 

প্যারাসিটামল, পায়োগ্লিটাজন ও রসিগ্লিটাজন গ্রুপের বাতিলকৃত ওষুধসমূহের উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়, বিতরণ, মজুদ ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জনসাধারণকে এসব ওষুধ ব্যবহার না করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।  

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Share:

সাদা বিপ্লব চলছে , চলবে ......

মেডিকেলের ইতিহাসে এমন সফল আন্দোলন পূর্বে কখনো দেখি নাই ।

মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা রোদ বৃষ্টি ঝড় সব বৈরীতা,

উপেক্ষা করে সাদা বিপ্লবের মাধ্যমে

এম বি বি এস কোর্সে ক্যারি অন সিস্টেম ফেরত এনেছে ।


মেডিকেল ব্যবসায়ীদের ১২টা বাজিয়েছে  ।


এ নায্য দাবি আদায় করতে কেবল শহীদ মিনার নয় ,
Share:

আবারও প্যারাসিটামল-বিপত্তি দেখা দিয়েছে দেশে

আবারও প্যারাসিটামল-বিপত্তি দেখা দিয়েছে দেশে। এ দফায় আগের মতো কারো তাৎক্ষণিক মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও দীর্ঘমেয়াদি বড় ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। চার বছর আগে সরকারের অনুমোদন নিয়েই দেশের ১৬টি ওষুধ কম্পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম + ডিএল মেথিওনিন ১০০ মিলিগ্রাম কম্বিনেশন জেনেরিকের ট্যাবলেট। প্রতিটি কম্পানি যার যার আলাদা ব্র্যান্ড নামে এ ওষুধ বাজারে ছাড়ে। তবে গত ৭ জুলাই সরকারের জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় ওষুধটির অনুমোদন বাতিল করা হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বাতিল করার পরে এখনো ওই ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে দোকানে দোকানে। ওষুধ কম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই ওষুধটি বাতিল ও বাজার থেকে তা প্রত্যাহারের জন্য কেউ কেউ দু-এক দিন আগে নোটিশ পেয়েছে। তাই এটি কার্যকর করতে কিছুটা সময় লাগছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের ভাগ্য ভালো যে বিশেষজ্ঞ কমিটি এ ওষুধটির ক্ষতিকর দিক ধরতে পেরেছে এবং দ্রুত তা বাতিল করতে সক্ষম হয়েছে। তা না হলে তিন-চার বছর ধরে এই ওষুধের মাধ্যমে যতটা ক্ষতি হয়েছে, এর মাত্রা আরো বাড়তে থাকত।'


Share:

মেডিকেলের গুরত্বপূর্ণ বইসমূহ ডাউনলোড করুন, বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

মেডিকেলের গুরত্বপূর্ণ বইসমূহ ডাউনলোড করুন, বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন ।
গ্রেস এনাটমি থেকে শুরু করে বেইলী'স লাভ ।
পর্যায়ক্রমে সব বইয়ের  পিডিএফ ফরম্যাট আপলোড করা হবে ।



 Diagnostic imaging 


নতুন নতুন এডিশন আপডেট করা হবে,

ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে জানাবেন ।

কৃতজ্ঞতায় ---

 ডা. স্বাধীন  

email: DoctorShadhin@gmail.com


শুরুতেই বাংলাদেশের মেডিকেল সায়েন্সের গুরু ও বি এস এম এম ইউ এর 

মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ স্যারের বই ।

ডাউনলোড করতে ছবি কিংবা লেখার উপর ক্লিক করুন ।

       


                                     DownLoad

                   Short Cases in Clinical Medicine

DownLoad from Mediafire  

                                 

                                       Harrisons Principles of Internal Medicine


মেডিকেল ইবুক ডাউনলোড---  DoctorShadhin.Blogspot.com


                                         
DownLoad


DownLoad




Download

                            Bailey & Love’s Short Practice of Surgery 26 Edition


           



                                         DownLoad Burn and Plastic Surgery Book






                                           Hutchison’s Clinical Methods




                              Macleod’s Clinical Examination 13th EDITION 
মেডিকেল ইবুক ডাউনলোড---  DoctorShadhin.Blogspot.com







Download
                              Download Clinical Case



                  
                 Jeoffcoate's Principles of Gynaecology 
Download Jeoffcoate's





                                      DownLoad Forensic Medicine






DownLoad
   





Download
                                      Netter  6th EditionDowload 
                             
                                Netter 5th Edition 






                             Download Gray's Anatomy 






                 Downlaod Clinical Anatomy



                                    

                             Snell NeuroAnatomy



                        DownLoad  Embryology



                           DownLoad Difore's



                         DownLoad Ganong's Physiology



                                 
         
                          Download  Robbins Pathology 


                            DownLoad Guyton Physiology


                            DownLoad Biochemistry


           
Share:

আর্কাইভ

সর্বশেষ ব্লগ

মেডিকেল কলেজ

ডাউনলোড

সকল