Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

নির্বাচিত ব্লগ

বর্গী মানে কি? কাদের কে বর্গী বলে ডাকা হতো?

বাংলায় বর্গী আক্রমণের সেই কবিতার পুরোটা কতজন জানেন? ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে।। ধান ফুর...

আমেরিকায় মেডিকেল সাইন্সে উচ্চশিক্ষা



বুয়েটের ছেলেরা এত সহজে কীভাবে ইউরোপ আমেরিকাতে যায়? সমসাময়িক বুয়েটের বন্ধুদের খোঁজ নিলে দেখা যাবে – তাদের অধিকাংশই এখন দেশের বাইরে। ডাক্তাররা কী যেতে পারেনা?????

চলুন উত্তর খুঁজি। এমবিবিএস কোর্স শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ ইন্টার্ন শেষ করার পর আমাদের জীবনটা আরও দুর্বিষহ হয়ে যায়। চার বছরের অনাহারি (অবৈতিনিক) প্রশিক্ষণ। এদিকে বাসায় সংসারের ঘানি টানতে টানতে খাবি খাওয়া বৃদ্ধ পিতা বা স্বল্প বেতনের চাকরি করা অসহায় বড়ভাই-বা সদ্য বিয়ে করা নববধূর সামান্য চাহিদা নিয়ে আপনার আমার প্রতি চেয়ে থাকা অসহায় মুখ। ওহ, কী যাতনা, যে এই কষ্ট পায়নি, সে কখনোই ফিল করতে পারবেনা অনাহারি জীবনের কষ্ট।

এখন আবেগের কথা বাদ দিয়ে একটু কাজের কথায় আসি। বুয়েটের অধিকাংশরাই যখন বোস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া আর সানফ্রানসিসকোতে একটি নিরাপদ এবং স্বচ্ছন্দ জীবন পার করেছে – সেসময় তারই ক্লাসমেট বা একাডেমিক প্রতিবেশী ডিএমসি র বন্ধুটি হয়ত রাত তিনটার সময় কোন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে অজপাড়াগাঁয়ের কোন সরকারি হাসপাতালে রোগীকে সিপিআর দিচ্ছে।

কেন, তাদের কি পথ খোলা নেই, তারা কী বাইরে যেতে পারেনা????

অবশ্যই পারে। চাইলে ইঞ্জিনিয়ারদের মত ডাক্তারেরা চাইলে দলে দলে আমেরিকা যেতে পারে।

কীভাবে???????
ইউএসএমএলই?

ইউএসএমএলই তে চান্স পাওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন স্টুডেন্টসের সংখ্যা আমাদের দেশে অনেক। কিন্তু একটা কারণেই তারা যেতে পারেনা – এবং সে কারনটা অর্থনৈতিক।

ইউএসএমএলই – র সবগুলো পার্ট পাশ করে রেসিডেন্সি তে ঢোকা পর্যন্ত খরচ মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলার। (আট থেকে ১২-১৩ লাখ) এত বড় অংকের টাকা খরচ করা আমাদের গরীব দেশের গরীব জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

তবে হ্যাঁ – একটা পথ খোলা আছে। কেউ যদি এদেশ ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে ডিটারমাইন্ড হয় – সেক্ষেত্রে তার জন্য পথ সর্বদা খোলা।

সবচেয়ে কমন পথ হচ্ছে ক্লিনিক্যাল লাইন থেকে রিসার্চ লাইনে চলে যাওয়া। আর কেউ যদি দুই বছর মাস্টার্স করে ইউএসএমএলই করতে চায়, তার জন্য ক্লিনিক্যাল পথ তো খোলাই আছে।

কীভাবে রিসার্চ লাইনে যাওয়া যায়?

আপনি প্রায়ই শুনে থাকেন – বুয়েটের আপনার অমুক বন্ধুটি ওয়াশিংটনে, তমুক নিউ জার্সিতে…………

বুয়েটের পোলাপাইন কীভাবে এত দ্রুত আমেরিকা চলে যায়?????

তারা কী আমার আপনার চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী????

মোটেই নয়।

তাহলে?????

আমেরিকাতে আমাদের দেশ থেকে যে সব বুয়েটিয়ান যায় – তারা হয় মাস্টার্স অথবা পিএইচডি-র জন্য যায়। অনেকেই আবার এমবিএ ও করে।

আমেরিকাতে মাস্টার্স করার চেয়ে পিএইচডি করাটা আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের জন্য বেশি সুবিধাজনক। কারণ মাস্টার্সে ফান্ড পাওয়া দুঃসাধ্য, পিএইচডি তে তুলনামূলক ভাবে সহজ। কেন আমেরিকার লোকাল স্টুডেন্টসরা পোস্ট গ্রেজুয়েশনের ব্যাপারে পিএইচডির চেয়ে মাস্টার্স করতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে?

এর কারণ অনেক গুলো।

প্রথমত – দীর্ঘসূত্রিতাঃ

মাস্টার্সে সময় লাগে মাত্র দেড় থেকে দুই বছর, পিএইচডি তে পাঁচ থেকে সাত বছর

দ্বিতীয়ত – পিএইচডির স্বল্প (তুলনামূলক) চাহিদা/ মাস্টার্সের চেয়ে অতিরিক্ত সুবিধা না থাকাঃ

পিএইচডিকে সাধারণত মাস্টার্স + ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স এর মান দেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন পিএইচডি হোল্ডারের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি মাস্টার্স করে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যে স্কেল পাওয়া যায়, সে স্কেল দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুলো নতুন অভিজ্ঞতাবিহীন পিএইচডি হোল্ডারের চেয়ে মাস্টার্স + ৩ বছরের অভিজ্ঞদের বেশি বিবেচনা করে চাকরির জন্য। কারন যেসব ছেলেরা মাস্টার্স করে চাকরিতে ঢুকে ৩ বছর চাকরি করে তারা তাদের কোম্পানিতে/কর্মস্থলে একটা জব এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করে, একজন নবাগত পিএইচডির যদিও মাস্টার্স + ৩ বছরের অভিজ্ঞতার সমমান, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিতে নির্দিষ্ট কাজের জন্য উক্ত পিএইচডি ধারীর সেই অভিজ্ঞতা থাকেনা, তাই অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান চাকরিতে পিএইচডিদের চেয়ে মাস্টার্সদের প্রায়োরিটি দেয়।

তৃতীয়ত – স্বল্প আর্থিক সুবিধাঃ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পাশ করা স্টুডেন্টসরা সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাসিক চার থেকে ছয় হাজার ডলার করে বেতন পায়। অন্য দিকে পিএইচডির জন্য ফান্ড দেওয়া হয় মাসে দেড় থেকে সর্বোচ্চ আড়াই বা তিন হাজার ডলার। তাই চার থেকে ছয় হাজার ডলারের চাকরি ছেড়ে দুই হাজার টাকা ফান্ডিং এর পিএইচডি তাদের কাছে খুব বেশি কাঙ্ক্ষিত নয়। পিএইচডি করলেও সেটা তারা পার্ট টাইম পিএইচডি করে। পার্ট টাইম পিএইচডি – তে কোন ফান্ডিং পাওয়া যায়না বটে, তবে আবার কোন টিউশন ফি ও দেওয়া লাগেনা। মার্কিন স্টুডেন্টরা এইভাবেই প্রফেসর/প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। নো ফান্ড বাট পার্ট টাইম পিএইচডি। এভাবে তারা পার্ট টাইম পিএইচডি করায় ফুল টাইমার পিএইচডি গবেষকদের অধিকাংশ ই থার্ড ওয়ার্ল্ডের গরীব দেশগুলো থেকে রিক্রুট করতে হয়।

লোকাল স্টুডেন্টরা ফুল টাইম পিএইচডি করেনা কেন?
পিএইচডি কোর্স ৫ বছর। ফাণ্ডিং মাত্র ২০০০ ডলার/মাস। অন্যদিকে ব্যাচেলর/মাস্টার্সরা ইজিলি চার থেকে ছয় হাজার ডলার বেতন পায়। সুতরাং ব্যাচেলর/মাস্টার্স করে চাকরি করার পাশাপাশি পার্ট টাইম পিএইচডি করে নেওয়াটাই তাদের জন্য সুবিধাজনক।

মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্য মেডিকেল রিলেটেড সাবজেক্টসমূহ
• Medicine
• Ophthalmology
• Pharmacology
• Physiology
• Physiotherapy
• Psychology
• Public Health
• Speech-Language Pathology & Audiology
• Epidemiology
• Rehabilitation/Therapeutic Services
• Biochemistry
• Biomedical sciences
• Biophysics
• Biotechnology
• Bacteriology
• Anatomy
• Biometrics & Biostatistics
• Cell/Cellular Biology and Histology
• Developmental biology/Embryology
• Endocrinology
• Entomology
• Immunology
• Molecular Biology
• Microbiology
• Neuroscience
• Nutrition science
• Toxicology
• Genetics
• Pathology
• Pharmacology
• Physiology

এছাড়া ও রয়েছে
• Complementary Health
• Counseling
• Dentistry
• Health Studies
• Health and Safety
• Midwifery
• Nutrition and Health
• Environmental Health
• Environmental toxicology
• Health Systems/Service Administration
• Kinesiology/Exercise science
• Nursing sciences
• Pharmacy
• Physician Assistant
• Health Sciences, General
• Health Sciences, Other
• Entomology
• Parasitology
• Biology/Biological sciences
• Biology/Biomedical sciences

কী করবেন? কিসে পড়বেন মাস্টার্স না পিএইচডি?

এবারে দেখা যাক, মাস্টার্স আর পিএইচডির মধ্যে সুবিধা অসুবিধা কেমন।

সময় : মাস্টার্সে সময় লাগবে দেড় থেকে দুই বছর। আর পিএইচডিতে ৫ থেকে ৭ বছর।

পরিশ্রম : অন্তত এটুকু বলা যায় – আমাদের ডাক্তারেরা; যারা চাকরি, ট্রেনিং আর পোস্ট গ্রেড পড়াশুনার মত তিনটা কঠিন কাজ প্রায় একই সাথে করতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য এই পরিশ্রম খুব বেশি হওয়ার কথা না। তবে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের পরিশ্রমের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। মাস্টার্সের কোর্স রিকয়ারমেন্ট পিএইচডির প্রায় অর্ধেক, আর থিসিসের পার্থক্যও বিশাল। মাস্টার্সের থিসিস প্রায় ক্ষেত্রেই একটি মাত্র প্রজেক্ট নির্ভর, যেখানে পিএইচডি থিসিসে একাধিক রিসার্চ পেপারের কাজ নিয়ে বেশ বড় আকারের কাজ করতে হয়। যেখানে এক সেমিস্টার খেটেই এক্সপেরিমেন্ট সহ মাস্টার্স থিসিস অনেকে লিখে ফেলে, সেখানে পিএইচডির গবেষণা শেষ হবার পরে থিসিস লিখতেই অনেকের এর চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগে যায়।

চাকুরির সুযোগ : একাডেমিক ও রিসার্চ লাইনের জন্য পিএইচডি অপরিহার্য। কাজেই আপনার লক্ষ্য যদি হয় একাডেমিক বা রিসার্চ লাইনে থাকা, সেক্ষেত্রে পিএইচডি করতেই হবে। আর আপনার লক্ষ্য যদি হয় কোনো মার্কিন কোম্পানিতে চাকুরি পাওয়া, তাহলে তার জন্য মাস্টার্স করাই যথেষ্ট। অধিকাংশ চাকুরির জন্য মাস্টার্স ডিগ্রি হলেই চলে। আর ২ বছর পড়েই চাকুরির বাজারে ঢুকতে পারছেন, যা বড় একটা সুবিধা।

তবে অনেক চাকুরিতেই পিএইচডি থাকাটা কোনো অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে ধরা হয় না। চাকুরির বাজারের অনেক জায়গাতেই পিএইচডি বা মাস্টার্সের কোনো পার্থক্য নেই। আগেই বলা হয়ছে পিএইচডিকে সাধারণত মাস্টার্স + ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স এর মান দেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন পিএইচডি হোল্ডারের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি মাস্টার্স করে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যে স্কেল পাওয়া যায়, সে স্কেল দেওয়া হয়।

সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট বিষয় ফান্ডিং : মাস্টার্স পর্যায়ে ফান্ড পাওয়াটা বেশ কঠিন। অন্তত প্রথম সেমিস্টারে ফান্ড পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব। সেক্ষেত্রে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে হবে, যা আমাদের দেশের ম্যাক্সিমাম জুনিয়র ডাক্তারদের নাগালের বাইরের পর্যায়ে। স্টেইট ইউনিভার্সিটিগুলোতে টিউশন কম।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেই ফি এর পরিমাণ বেড়ে যাবে অনেকখানি। মাস্টার্স পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারের ফি প্রায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার ডলার। মাস্টার্সে প্রথম সেমিস্টারে ভালো কাজ দেখিয়ে প্রফেসরের কাছ থেকে রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশিপ যোগাড় করতে পারলে টিউশন মাফ হতে পারে, আর বেতনও পাওয়া যেতে পারে।

পক্ষান্তরে, পিএইচডিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই ফান্ড দেয়া হয়, টিচিং/রিসার্চ অ্যাসিস্টান্টশীপ বা ফেলোশীপের মাধ্যমে। এর সাথে টিউশন ফি ও মাফ করা হয়। যা বেতন দেয়া হয়, তা খুব বেশি না হলেও মোটামুটি বেশ ভালই থাকা যায়।

মাস্টার্সে ফান্ড দেয়া কম হয় বলে ভর্তির কড়াকড়িও কম, অ্যাডমিশন পাওয়া সহজ। পক্ষান্তরে পিএইচডির অ্যাডমিশন পাওয়াটা কঠিন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই কয়েকশ মাস্টার্স ছাত্র থাকে, কিন্তু পিএইচডি ছাত্র নেয়া হয় জনা দশেক/বিশেক প্রতি বছরে।

সব বিচার করে বেছে নিন, পিএইচডি নাকি মাস্টার্স, কোনটিতে আবেদন করবেন। একটি বেছে নিলে অন্যটাতে যেতে পারবেন না, তা কিন্তু নয়। দরকার হলে প্রোগ্রাম পাল্টানো যায়, তবে সেটি সময়সাপেক্ষ।

কাজে নেমে পড়েন এখন থেকেই।

Prerequisites:
1. Machine Readable Passport

2. Birth Certificate in English

3. National ID and/Certificate from union chairman/councilor

4. Academic Certificates and Transcripts converted in GPA system.

5. GRE, TOEFL or IELTS score

6. Well & nicely prepared CV

7. Letter of intent (কেন আপনি ওই কোর্সটি করতে চান – সেটির সুন্দর, যুক্তিসঙ্গত এবং আকর্ষণীয় বিবরণ থাকতে হবে এখানে)

8. Letter of recommendation/experience

(Very important; suppose you want to do a research work/PhD in immunology, you were a lecturer of microbiology & immunology in a medical college with well arranged lab. You can show this experience in your letter of recommendation)

9. Police Clearance

যারা প্রথাগত ক্লিনিক্যাল লাইন ছেড়ে রিসার্চ লাইনে যেতে চাচ্ছেন, অথবা অন্তত ছাংবাদিক আর রাজনীতিবিদদের শ্বাসরুদ্ধকর জ্বালা যন্ত্রণায় এদেশ ছেড়ে চলে যেতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই লেখাটি লেখা।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ জানেইনা, পাঁচ বছর এমবিবিএস কোর্স শেষে ইন্টার্নশীপে ডাক্তারদের বেতন দেওয়া হয় মাত্র দশ হাজার টাকা।

এফসিপিএস বা এমডি/এমএস এর চার পাঁচ বছর কোর্স চলাকালীন হাসপাতালে কাজ করার সময় ডাক্তারদের মাসিক বেতন শুন্য টাকা।

বিসিএস স্বাস্থ্য দিয়ে সহকারী সার্জন পদে ডাক্তারদের মাসিক বেতন মাত্র সতের হাজার টাকা।

ডাক্তারেরা এদেশের সবচেয়ে মেধাবী সন্তান, সে ব্যাপারে দ্বিমত কম। তারা দেশপ্রেমের জন্য হোক, আর পরিস্থিতির শিকার হয়ে হোক, দেশের কাছ থেকে এবং দেশের জনগণের কাছ থেকে টাকা পয়সা কম নিতে প্রস্তুত, এবং এটাকে তারা তাদের নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে।

কেন জানেন?

ওই যে ডাক্তারি পেশায় সম্মান!

কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই সম্মান ও মর্যাদা শেষ হয়ে গিয়ে এখন নিরাপত্তা টুকু ও নেই।

হ্যাঁ সম্মান আছে বটে, সেটা পোস্ট গ্রেড হওয়ার আরও কয়েক বছর পর ভাল প্র্যাকটিস হলে তারপর। এর আগ পর্যন্ত আমি আপনি এমবিবিএস দিয়ে কেবল রেফারেল নলেজ অর্জন করি।

মানে কী বুঝলেন???

এমবিবিএস করে আপনাকে আপনার পরিচিত বা আত্মীয় – স্বজন জিজ্ঞেস করবে, আমার তো হালকার উপর ঝাপসা মাথাব্যাথা; তো এখন বল তো কোন ডাক্তারের কাছে গেলে ভাল হয়?

বা একটু বেশি জানাশোনা পাবলিক হলে বলবে – বল তো কোন নিউরোলোজিস্ট এর কাছে যাওয়া যায়???

তার মানে কী??

আপনি ছয় বছর পড়াশুনা করে রেফারেল নলেজ অর্জন করলেন মাত্র, তাও রোগী না দেখে!

Referral System আর জিপি লেভেলের ডাক্তার সিস্টেম না থাকায় আমাদের জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে চিন্তা করেছেন?

সেই ক্লাস এইটের কথাটাই মনে পড়ে।

সকল প্রফেসর/সিনিয়র কনসালটেনটই জিপি, তবে সকল জিপি কনসালটেনট নয়।

বিসিএস এ গ্রামে যাবেন! বেতন মাসে মাত্র ১৭,৩০০ টাকা, যেখানে একটা প্রাইভেট ব্যাংকে জয়েনিং বেতন ই ৬০ – ৭০ হাজার টাকা। এরপর ও এই ডাক্তারেরা বেতন বৃদ্ধির দাবীতে কখনো ধর্মঘট করেছে – এই রকম অভিযোগ সাংবাদিকেরা ও কখনো করেনি।

তাহলে আমরা কী চাই???

মেধাবী হিসেবে তারা শুধু জাতির কাছ থেকে একটু সম্মান আর নিরাপত্তা চায়। আমাদের জাতির কিছু অশিক্ষিত সাংবাদিক আর জাতির কিছু উশৃঙ্খল মানুষ নবীন এবং মাঝারি পর্যায়ের ডাক্তারদের এতটুকু সম্মান ও দিতে রাজী নয়।

তাহলে আমরা যারা নবীন এবং মাঝারি পর্যায়ের ডাক্তার, আমরা কী করব??

আর্থিক ভাবে ও যদি আমরা ভাল না থাকি, আর মানুষের কাছ থেকে ন্যায্য সম্মান ও যদি না পাই, বরং সাজিয়া আপু আর মুরাদ ভাইদের মত নৃশংসভাবে যদি খুন হতে হয়, তাহলে কোন মায়ায় আমরা এ দেশে পড়ে থাকব??

আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়াররা গণহারে বিদেশমুখি হলেও এখনো আমাদের ডাক্তারেরা দেশমুখি। বিদেশে যাওয়ার trendsটা ইদানীং শুরু হয়েছে মূলত কিছু ডিএমসি – র স্টুডেন্টস দের মধ্যে। অন্যান্য মেডিকেল থেকে বিদেশে যাওয়ার trends অনেক অনেক কম। যে হারে ডাক্তারদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, আগামীতে এদেশের মেধাবী ডাক্তারেরা দলে দলে বিদেশমুখি হতে খুব বেশি দেরী নেই।

যারা এই ধরনের চিন্তা অলরেডি করছেন, অথবা যারা প্রথাগত ক্লিনিক্যাল লাইনের বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করার মত হিম্মত রাখেন তাদেরকে শুভকামনা।

সংগ্রহ, সাইফ তুহিন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ

[সূত্র : সেইভ দ্যা ডক্টরস]












---------------------------------------
Share:

অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে নতুন আশার আলো- ওনিভাইড ইনজেকশন,


মারাত্মক প্যানক্রিস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন আশার আলো বয়ে এনেছে ওনিভাইড নামের নতুন একটি ইনজেকশন।

জটিল অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন এই ওষুধকে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দি ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

ওনিভাইডকে (ইরিনোটেকান লিপোসোম ইনজেকশন) ফ্লুরোরেসিল এবং লিউকোভোরিন নামের অপর দুটি ওষুধের সঙ্গে যৌথভাবে প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তবে কেমোথেরাপি নেয়ার পরও যেসব অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়নি শুধু সেসব রোগীর ক্ষেত্রেই ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ইনজেকশনটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে কমপক্ষে চারশ’ রোগীর ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেমোথেরাপি দেয়া হলেও এসব রোগীদের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিলো।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগীর শরীরে ওনিভাইড ইনজেকশনটি ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন এর সঙ্গে দেয়া হয়েছে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমপক্ষে ৬.১ মাস বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে যাদের ক্ষেত্রে শুধু ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন ব্যবহার করা হয়েছে তাদের আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে ৪.২ মাস। তবে শুধু ওনিভাইড ব্যবহারে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। 

ওনিভাইড অগ্ন্যাশয়ের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে তাদের বৃদ্ধির হারকে শ্লথ করে দেয়। তবে ওনিভাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, বমি, মাথা ব্যথা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, জ্বর প্রভৃতি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে রোগীদের শরীরে। 

ওষুধটিকে বাজারজাত করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজের মেরিম্যাক ফার্মাসিউট্যাকালস। দেশটিতে প্রতি বছর ৪৯ হাজার জন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়।  আর এ রোগে বছরে মারা যায় ৪০ হাজারের ওপর মার্কিনী।

সাধারণত রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারকে শনাক্ত করা কঠিন এবং এর চিকিৎসাও অত্যন্ত জটিল।
Share:

১০ টাকায় ডাক্তার আর ১৫ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

১০ টাকায় ডাক্তার আর ১৫ টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক. 
ঢাকার অভিজাত এলাকায় হোটেল রেডিসন এর ঠিক উল্টো দিকে অার্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের গা ঘেষে গড়ে উঠেছে চকচকে এক বিশাল ভবন। এখানে মাত্র ১০ টাকায় উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

হাসপাতালটির নাম কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু এ হাসপাতালটিতে রোগী আসেনা তেমন কারন এর যথাযথ প্রচারের অভাব । এখানে মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়ে ডাক্তার দেখানো যায়। ১৫ টাকায় মেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ঔষধপত্র সব ফ্রি। এছাড়া কম খরচে আছে বিভিন্ন টেষ্ট এবং অপারেশন এর সুবিধা। আমাদের চারপাশে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ আছে তাদের কাছে এ হাসপাতালটির তথ্য পৌছে দিতে পারলে তারা উপকৃত হবে, চিকিৎসার অভাবে অসহায় গরীব মানুষ গুলো হয়ত আলোর মুখ দেখবে।







Share:

ডাক্তারের ফি নেই, নেই ওষুধের দাম..


বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে চান? মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে যান। রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে বিনামূল্যে শতাধিক রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: আহসান হাবিব ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা: নাজিয়া আফরিন।

শুধু চিকিৎসা সেবাই নয়, দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয়ে থাকে মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়ে। মুক্তি সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ কিসলু এবং এই দাতব্য চিকিৎসালয়ের আহবায়ক জাহিদ ইকবাল বাবলা মিলে কাজটি করেন খুবই স্বচ্ছন্দে।

প্রতি শনিবারে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এসব সেবা পেয়ে থাকেন নানান প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা। ফলে ভীড়টাও হয় বেশি।

মুক্তি সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ কিসলু তাদের এই কর্মকাল্ডকে সামাজিক দায়বদ্ধতা হিসেবেই উল্লেখ করেন। বলেন, আই ক্যাম্প, স্বাস্থ্য ক্যাম্পসহ স্বাস্থ্যসেবার আরো বেশ কিছু কাজ হাতে রয়েছে। সবার সার্বিক সহযোগিতা পেলে দুঃস্থ ও গরীব রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশনের ব্যবস্থা করবো।

রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় মুক্তি সংঘ। স্বাধীনতার পর এই অঞ্চলের খেলাধুলার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে এই ক্লাব। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে চালু হয় মুক্তি সংঘ দাতব্য চিকিৎসালয়.
Share:

এই মানুষটার ঠিক এইরকম হাসিটাই ফিরে পেতে চাই!!! ঠিক আগের মতো করেই!!


এই মানুষটার ঠিক এইরকম হাসিটাই ফিরে পেতে চাই!!! ঠিক আগের মতো করেই!!
 সেই সাথে বিচার চাই সেই সব অমানুষদের যারা প্রানবন্ত মানুষটার ওপর নৃশংসতা চালালো!!!

চট্টগ্রাম মেডিকেলের খ্যাতিমান চিকিৎসক ডাঃতারেক শামসকে এভাবেই কুপিয়ে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।পুলিশ তদন্ত করছে।স্যারেরঅবস্থা আগের চাইতে কিছুটা ভাল।সবাই দোয়া করুন।
(শেয়ার করুন)








Share:

বর্তমান ডাক্তারী পেশা ও কিছু ধ্রুব সত্য কথা


বর্তমান ডাক্তারী পেশা ও কিছু ধ্রুব সত্য কথা ___
ডাক্তার হওয়ার জন্য
এম.বি.বি.এস  ভর্তির শুরু থেকে
ক্লাস,  প্রতিদিন আইটেম,  কার্ড,  টার্ম ও একের পর এক প্রফ পরীক্ষা ।
কেড়ে নেয় জীবনের সব আনন্দ!
ফার্স্ট প্রফের  এনাটমির জন্য,
 গ্রেস এনাটমি
কানিং হাম,  দত্তের বই,
বিডি চুরাশিয়া,  স্নেল নিউরোএনাটমি
নীটার কালার এটলাস,
হিস্টোলজি, ওস্টিওলোজি ,  এমব্রায়োলজি
ফিজিওলজির জন্য  গেনং, গাইটন সহ
আরো কত মেইনবই, গাইড বই পড়তে হয়!
বায়োকেমেস্ট্রির জন্য লিপিনকট, হার্পার, সত্যনারায়ণসহ কত লেকচার নোট পড়তে হয়!
যে পড়ে সে জানে!
এর মাঝে আরেক প্যারা কমিউনিটি মেডিসিন!
পাবলিক হেলথের ডেফিনেশন মুখস্ত করতে করতে জান শেষ হয়ে যায়,
ডেফিনেশন আর মুখস্ত হয় না!
সেকেন্ড প্রফ সে তো আইটেমের পাহাড়
ফার্মার কেটজাং ,  মাইক্রো , রবিনস প্যাথো,  মরা মানুষের গবেষনা রেড্ডির
ফরেনসিক পাশের  জন্য  কত বই,  লেকচার পড়তে সেটা আল্লাহ মালুম!
ফাইনাল প্রফ সেতো  এম বি বি এস নাটকের শেষ দৃশ্য!
থার্ড ইয়ারের ডেভিডসন - হ্যারিসনের মেডিসিন,
ম্যাকলয়েডস এর ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন,
আব্দুল্লাহ স্যারের শর্ট কেইস, লং কেইস ,
ইসিজি,  রেডিওলজি
বেইলী লাভের সার্জারী,
দত্তের সার্জারী,
আই,  ই এন টির কত বই,
কত লেকচার !
সে তো  বলে শেষ করা যাবে না!
সব বই আর লেকচার কাঁধে নিয়ে নিয়মিত ক্লাসে আসলে,
নিশ্চিত ঐ ছাত্রের ডাক্তার হওয়ার পূর্বেই কাইপোসিস ডেভেলাপ করবে ।
আইটেম সব ক্লিয়ার না হলে,
কার্ডে বসার সুযোগ নেই,
সব কার্ড পাশ না করলে,
টার্মে বসার সুযোগ নেই,
সব টার্মে পাশ না করলে
ভার্সিটির অধীনে অনুষ্ঠিত প্রফে বসার সুযোগ নেই,
সব ক্লিয়ার থাকার পর যদি পার্সেন্টেজ ৭৫ এর নীচে হয়
প্রফে বসার আশাটা গুড়ে বালি হয়ে যায়!

ফার্স্ট প্রফ নিয়মিত পাশ না করলে
ডাক্তার হওয়ার আশা হতাশা হয়ে দাঁড়ায়!
নিয়মিত প্রফে বসতে না পারলে
হতাশা কল্পনার বাহিরে চলে যায়!

সব শেষে শুরু
ফাইনাল প্রফ নামক মহাযজ্ঞ!
ভাগ্য যার সহায় হয়,
পাশ করে ডাক্তার হওয়াটা তত ইজি হয়!

যদি স্যারদের সাথে কোনো পার্সোনাল ক্লেশ থাকে তাহলে তো পাশ করাটা দু:স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়।
ফার্স্ট প্রফ, সেকেন্ড প্রফ,  থার্ড প্রফ (বর্তমানে)
ও ফাইনাল প্রফ  পাশ করলে
ডাক্তার হওয়ার আশা টা পূর্ণ হয়ে যাবে!
এম বি বি এস পাশের পর শুরু হয়
ইন্টার্ণশীপ লাইফ,
ইন্টার্ণশীপ লাইফে রোস্টার অনুযায়ী প্রতিটা ওয়ার্ডে  ডিউটি শেষে
লগ বুকে ওয়ার্ডের সি এ, প্রফেসর, কো অর্ডিনেটর ও  বিভাগীয় প্রধানের সই নিয়ে লগবুক জমা দিতে হয় ডিরেক্টর অফিসে,
ইন্টার্ণ লাইফ শেষে  প্রিন্সিপ্যাল  ও ডাইরেক্টরের সইযুক্ত ইন্টার্ণশীপ সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সপ্তাহ দুয়েক!

এখানেই  শেষ নয়!
এতোকিছু পাড়ি দিয়েও ডাক্তারী পেশা প্র‍্যাকটিস করতে পারবেন না,
প্র‍্যাক্টিসের জন্য আপনাকে  বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন সনদ  সংগ্রহ করতে হবে ,
রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নগদ টাকা,
এম বি বি এস পাশের  ভার্সিটি সার্টিফিকেট  ও
ইন্টার্নশীপ ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে  সপ্তাহ দুয়েক থেকে মাসেক!
বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন  সনদ  পাওয়ার পর
ডাক্তার হিসেবে প্র‍্যাক্টিস করার বৈধতা পাবেন।

পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন সে তো মহারতী মেধাবীদের স্বপ্ন ভংগের ভিন্নরূপ!
এফ সি পি এস  ফার্স্ট পার্ট পাশ করে
ট্রেনিং এ ঢুকবেন  বিনামূল্যে মানব সেবা করে যাবেন...    বাপের টাকায় নিজের থাকা খাওয়া দাওয়াসহ যাবতীয় খরচ  চালাবেন।
বছরের  পর বছর অনাহারী নামক  মেডিকেল অফিসার হয়ে  বিনামূল্যে মানব সেবা দিয়ে
চূড়ান্ত পরীক্ষায়   পাশ হবার সম্ভাবনা ৫ পার্সেন্ট!
এফ সি পি এস  ডিগ্রীটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে,
ঠিক ধরি মাছ না ছুই পানি এর উলঠো!
পড়তে থাকবেন আর ট্রেনিং করতে থাকবেন,
পাশ সে তো স্বপ্নের বিষয়!
পাশের হার এতই নগন্য অনেকে কয়েক বছর ট্রেনিং করে এফসিপিএস ছেড়ে দিয়ে
এম ডি  / এম এস রেসিডেন্সী করছেন  না হয় দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমাচ্ছেন!
কয়েক বছর আগেও
এফ সি পি এস এর পাশাপাশি  অন্যান্য ডিগ্রীগুলো  কনটিনিউ করা যেত!
আর এখন সে সুযোগটাও শূন্য।!
মেডিকেলের পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন  ব্যবস্থা এতটা কঠিন  করে ফেলেছেন,
হতাশা ছাড়া মিটে কি আশা !
এত কিছুর পরে যখন মহত পেশায় নিয়োজিত হবেন, দেখবেন
অন্যান্য পেশার বন্ধু বান্ধবরা বাড়ি গাড়ি করে দেশ বিদেশ ভ্রমণে পাড়ি দিচ্ছেন।
নানা উতসব  আনন্দে  দিন কাটাচ্ছেন,
তখন  আপনি এতোটাই ব্যস্ত হয়ে উঠবেন,
দেশ বিদেশ তো দূরের কথা  পরিবারের সদস্যদের সাথেও ঠিকমতো সময় দিতে পারবেন না!  আপনার অনুপস্থিথিতেই
শত আচার অনুষ্ঠান আনন্দ শেষ হয়ে যাবে!
আপনি শুধু আফসোস করে যাবেন!
এতো কিছু ত্যাগের পর বুড়ো বয়সে পাবেন
স্বান্ত্বনা স্বরূপ কিছুটা খ্যাতি  আর অর্থ বিত্ত !
উপরের সব কিছুই ধ্রুব সত্য!
কল্পনা নহে !!

লেখা- ডা.স্বাধীন

email - DoctorShadhin@gmail.com
  







Share:

সর্বশেষ ব্লগ

মেডিকেল কলেজ

ডাউনলোড

সকল